X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

আ.লীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলা: তৃতীয় দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
২১ মার্চ ২০১৮, ১৬:৫৬আপডেট : ২১ মার্চ ২০১৮, ১৭:২৫

আ.লীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলা: তৃতীয় দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ তৃতীয় দিনের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২১ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার উপস্থিতিতে এ  সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে টাঙ্গাইল কারাগার থেকে আমানুর রহমান খান রানাকে বেলা ১১টার দিকে আদালতে আনা হয়। বিচারক মামলার বাদী নাহার আহমেদের আংশিক জেরা সমাপ্ত করে আগামী ১৮ এপ্রিল মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন। 

অতিরিক্ত সরকারি কৌশুলি মনিরুল ইসলাম খান জানান, মামলার বাদী ও নিহত ফারুক আহমদের স্ত্রীর  সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এছাড়া আরও দুই সাক্ষী নিহতের ছেলে আহমেদ মজিদ সুমন ও মেয়ে ফারজানা আহমেদ মিথুনের হাজিরা আদালতে দাখিল করা হয়।

তিনি আরও বলেন,‘কারাগারে আটক আসামি আনিসুল ইসলাম রাজা, মোহাম্মদ আলী ও মো. সমিরকে এবং জামিনের থাকা অপর তিন আসামি মাসুদুর রহমান, ফরিদ আহম্মেদ ও নাসির উদ্দিন নুরু আদালতে হাজির হন।

এর আগে অসুস্থ্যতার কারণ দেখিয়ে এমপি রানাকে আদালতে হাজির না করায় এই মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণ চারবার পিছিয়ে যায়।

এসময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পিপি মনিরুল ইসলাম খান,অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আব্দুল গফুর, অ্যাডভোকেট এস আকবর খান, অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম প্রমুখ।

আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাভোকেট ফায়জুর রহমান, অ্যাডভোকেট খন্দকার নাজিম উদ্দিন,অ্যাভোকেট জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ শহরের কলেজপাড়ায় নিজ বাসার সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ ঘটনার দুইদিন পর নিহতের স্ত্রী নাহার আহম্মদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে স্থানান্তরত করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন এসআই অশোক কুমার সিংহ (পিপিএম) এ হত্যাকাণ্ডে এমপি রানা ও তার ভাইদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পান।

দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি এমপি আমানুর রহমান খান রানা, তার ছোট ভাই ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক গোলাম মাহফীজুর রহমান। এরপর ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এমপি রানা আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। নয়বার তারিখ পেছানোর পর গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর দন্ডবিধির ৩০২/ ১২০/৩৪ ধারায় সংসদ সদস্য রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন আদালত।

আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দুই জনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড



 

/জেবি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ভিসা-পাসপোর্ট হারিয়ে প্রবাসী অজ্ঞান, ৯৯৯-এ কলে উদ্ধার
ভিসা-পাসপোর্ট হারিয়ে প্রবাসী অজ্ঞান, ৯৯৯-এ কলে উদ্ধার
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
উত্তর কোরিয়া সফর করলেন রুশ গোয়েন্দা প্রধান
উত্তর কোরিয়া সফর করলেন রুশ গোয়েন্দা প্রধান
ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে চলবে ১৫ ফেরি, ২০ লঞ্চ
ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে চলবে ১৫ ফেরি, ২০ লঞ্চ
সর্বাধিক পঠিত
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর যেতে সময় লাগবে ৪৪ মিনিট
গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর যেতে সময় লাগবে ৪৪ মিনিট