গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে উটপাখির পরিবারে নতুন তিন সদস্যের আগমন ঘটেছে। সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত ডিম ফুটে এই ছানা তিনটির জন্ম হয়। সাফারি পার্ক সূত্রে জানা গেছে, দেশে আবদ্ধ পরিবেশে উটপাখির ছানা জন্মদানের ঘটনা এটি দ্বিতীয়।
সাফারি পার্কের বণ্যপ্রাণি পরিদর্শক সরোয়ার হোসেন খান জানান, সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত আটটি ডিমের মধ্যে তিনটি ফুটে ছানার জন্ম হয়। বাকি ডিমগুলো থেকেও ছানা পাওয়া যাবে। নিরাপত্তার স্বার্থে দর্শনার্থীদের কাছ থেকে নতুন ছানাসহ মা উট পাখিকে বেষ্টনির একপাশে বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে। ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি দেশে প্রথমবারের মতো উটপাখি থেকে একটি ছানা পাওয়া যায়। নতুন তিন ছানাসহ বর্তমানে পার্কে উটপাখির সংখ্যা ১০টিতে দাঁড়ালো বলেও জানান তিনি।
সরোয়ার হোসেন খান আরও জানান, ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আড়াই বছর বয়সী ছয়টি উটপাখি আনা হয়। এর মধ্যে দুইটি পুরুষ ও চারটি স্ত্রী পাখি ছিল। মা উট পাখি সাধারণত ৪০ দিন ডিমে তা দেয়। ৪০ দিন পর থেকে ছানা ফোটা শুরু হয়।
অন্য এক বণ্যপ্রাণি পরিদর্শক আনিসুর রহমান জানান, আবদ্ধ অবস্থায় সবচেয়ে বড় উটপাখি ৬০ বছর বেঁচে থাকে। আর প্রকৃতিক পরিবেশে ৪০-৪৫ বছর বাঁচে। প্রায় ৬৫ কেজি থেকে ১৪৫ কেজি পর্যন্ত এদের ওজন হয়। এরা ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার গতিতে দৌড়াতে পারে।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন বলেন, ‘সাফারি পার্কে মরুর দেশের উটপাখির ডিম ফুটে ছানা জন্মের ঘটনায় আশা তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম ছানাটি আবদ্ধ পরিবেশে সবদিক থেকে অন্যান্য উটপাখির চেয়ে আকর্ষণীয় হিসেবে বেড়ে উঠছে।’