X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘কোনও একটি দল অংশ না নিলেও যথাসময়েই নির্বাচন’

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
২৪ মার্চ ২০১৮, ২৩:১১আপডেট : ২৪ মার্চ ২০১৮, ২৩:১৮

কথা বলছেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম (ছবি- প্রতিনিধি)

কোনও একটি দল অংশ না নিলেও যথাসময়েই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘দেশে ৪০টি নিবন্ধিত দল রয়েছে। আমরা চাই, সব দল নির্বাচনে অংশ নিক। যদি কোনও একটি দল অংশ না নেয়, তবু যথাসময়েই নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন সংবিধান সমুন্নত রাখার শপথ নিয়েছে। সেজন্য যে ধরনের ব্যবস্থা সংবিধানে আছে, তার অধীনেই নির্বাচন করবে কমিশন।’

শনিবার (২৪ মার্চ) বিকালে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা মিলনয়াতনে এলেঙ্গা পৌরসভা ও বাংড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আরপিও বা সংবিধান সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত একদিনেই নির্বাচন করা আমাদের দায়িত্ব। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করে দাঁড়াতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ দেশের জনগণের দাবি, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। তাদের দাবি মাথায় রেখে নির্বাচন হবে। নির্বাচনের প্রতি জনগণের যে আস্থাহীনতা রয়েছে, তা দূর করা হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে।’

নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যা যা প্রয়োজন, নির্বাচন কমিশন তাই ব্যবস্থা করবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এলেঙ্গা পৌরসভা ও বাংড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হলে প্রয়োজনে তা স্থগিত করে আবারও নির্বাচন করা হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনগণের জানমালের যেন ক্ষতি না হয়, সেদিকে আমাদের সর্বোচ্চ দৃষ্টি থাকবে। কোনও প্রার্থী কিংবা কর্মকর্তা আইনের চোখে প্রমাণযোগ্য অপরাধ করলে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এলেঙ্গা পৌরসভা ও বাংড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক কেন্দ্রে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। টাঙ্গাইলের মানুষের ইচ্ছা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটানোর চেষ্টা করবো। আপনারা নির্বাচনে হেরে গেলে কারচুপির অভিযোগ আনেন। এ প্রবণতা থেকে আপনাদের বেরিয়ে আসতে হবে। নির্বাচনে জয়-পরাজয় রয়েছে। পরাজয়ের পর আপনারা ভোটারদের কাছে যান। পরবর্তী সময়ে ভোটাররাই আপনাদের কাছে আসবে।’

রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এলেঙ্গা পৌরসভা ও বাংড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে র‌্যাব, বিজিবি ও পর্যাপ্ত পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং কেন্দ্রে কেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে।’

টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন– টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিব আসাদুজ্জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন– জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা কমান্ড্যান্ট সৈয়দ ইফতেহার আলী, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদ আহম্মেদ সিকদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার, কালিহাতী থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ও জনপ্রতিনিধিরা।

 

/এমএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ
এক কোরাল ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি
এক কোরাল ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি
মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ ডিসি ও এসপিদের
উপজেলা নির্বাচনমন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ ডিসি ও এসপিদের
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা