X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

ড্রাগন চাষে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক

তৈয়ব আলী সরকার, নীলফামারী
১৬ এপ্রিল ২০১৮, ০৯:৫০আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০১৮, ১৭:৪৪

নীলফামারীতে ড্রাগন চাষ

নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় ড্রাগন ফল চাষ করে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। পরীক্ষামূলকভাবে ড্রাগন চাষে সফল হয়ে বাগান সম্প্রসারণ করে আরও সাড়ে সাত হাজার চারা রোপণ করছেন এক চাষি।

সরেজমিন কথা হয় ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের খাটুরিয়া গ্রামের ‘বাহে কৃষি ফার্মের’ মালিক রিয়াসত করিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘২০১৬ সালে দেড় বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে ড্রাগন চাষ করি। এক বছরের সফলতায় বাগান সম্প্রসারণ করে আরও ৯ বিঘা জমিতে চারা রোপণ করেছি।’

আনুষ্ঠানিকভাবে তার মা রওশনারা বেগম ওই চারা রোপণ উদ্বোধন করেন।

নীলফামারীতে ড্রাগন চাষ

‘বাহে কৃষি ফার্ম’-এর মালিক রিয়াসত করিম জানান, ‘২০ বছর ধরে কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। ২০১৬ সালে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ প্রজনন বীজ উৎপাদন কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আশিষ কুমার সাহার মাধ্যমে ড্রাগন চাষে উদ্বুদ্ধ হন। এরপর ইন্টারনেটের মাধ্যমে ড্রাগন ফল চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নেন। তারপর যশোরের চৌগাছা থেকে চারা সংগ্রহ করে প্রথমে দেড় বিঘা জমিতে রোপণ করেন। এক বছরের মধ্যে ওই গাছ থেকে যে ফল আসে তা তিন লাখের বেশি টাকায় বিক্রি করেন। ফলগুলো কিছু স্থানীয় বাজারে বিক্রির পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে ঢাকা ও সিলেটের বাজারে বিক্রি করেছেন।

তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দেড় বিঘা জমিতে বাগান করতে আমার খরচ হয় ছয় লক্ষ টাকা। প্রথম বছর আমি ফল পাই তিন লক্ষ টাকার ওপরে। প্রতিবছর এর ফলন বৃদ্ধি পাবে।’

এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘একটি বাগান থেকে অন্তত ১০ বছর ফল পাওয়া যাবে। ওই জমিতে এক হাজার ২৪টি গাছ রোপণ করা হয়েছে। এবারে ৯ বিঘা জমিতে রোপণ করা হয়েছে সাড়ে সাত হাজার চারা।’

নীলফামারীতে ড্রাগন চাষ

যশোরের চৌগাছা উপজেলার ড্রাগন নার্সারির মালিক জুলফিকার সিদ্দিক বলেন, ‘ড্রাগন চাষ একটি লাভজনক ব্যবসা। উত্তর অঞ্চলের নীলফামারী জেলার ডোমার অঞ্চলের মাটি, আলো, বাতাস ড্রাগন চাষে উপযোগী। এ জাতীয় ফল খেতে সুস্বাদু ও মিষ্টি। দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে এর চাহিদাও রয়েছে অনেক।’

এ ব্যাপারে নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কেরামত আলী বলেন, ‘অন্যান্য ফসলের তুলনায় ড্রাগন চাষ লাভজনক। চারা রোপণের এক বছরের মধ্যে বাগানে ফল আসতে শুরু করে। অল্প সময়ের মধ্যে খরচের পয়সা উঠে আসে। এতে লোকসানের সম্ভাবনা নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘জেলায় ব্যক্তি উদ্যোগে এখন পর্যন্ত ৮টি ড্রাগনের বাগান গড়ে উঠেছে, যা চাহিদার তুলনায় একেবারে কম। আশা করি আগামীতে এর চাষ ব্যাপক হারে বেড়ে যাবে।’ সফলতার পর অনেকেই বাগানের পরিধি বাড়াচ্ছেন বলেও জানান তিনি।’  

উপ-পরিচালক আরও বলেন, ‘কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ড্রাগন চাষে কৃষকদের মাঠপর্যায়ে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এটি সব ঋতুতে লাগানো যায়। রোগবালাইও কম। ফলও হয় ভালো।’

প্রথমবারের ফল থেকে প্রতি বিঘা জমিতে দুই লাখ টাকার বেশি আয় করা সম্ভব এবং পর্যায়ক্রমে এই আয় বাড়তে থাকবে বলেও জানান তিনি।

 

 

/এএইচ/চেক-এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
লিবিয়ায় জিম্মি চট্টগ্রামের ৪ যুবক, পাঠানো হচ্ছে নির্যাতনের ভিডিও
লিবিয়ায় জিম্মি চট্টগ্রামের ৪ যুবক, পাঠানো হচ্ছে নির্যাতনের ভিডিও
ধারণার চেয়ে কম সেনা প্রয়োজন ইউক্রেনের: সিরস্কি
ধারণার চেয়ে কম সেনা প্রয়োজন ইউক্রেনের: সিরস্কি
ফিরেই ফর্টিসকে বিধ্বস্ত করলো মোহামেডান
ফিরেই ফর্টিসকে বিধ্বস্ত করলো মোহামেডান
লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে পদ্মা নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু
লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে পদ্মা নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
‘ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণেই পিটার হাস গা ঢাকা দিয়েছেন’
‘ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণেই পিটার হাস গা ঢাকা দিয়েছেন’