গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের সব দিক বিবেচনা করে ভোট দেবেন ভোটাররা। মাদক নির্মূল, চলাফেরায় নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তাসহ উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি যার কাছ থেকে পাবেন তাকেই ভোট দেবেন তারা। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে এসব কথা জানা গেছে।
বাড়ি কুমিল্লায় হলেও সপরিবারে গাজীপুরের মীরের বাজার এলাকায় ১২ বছর ধরে আছেন সাইফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘গতবারও সিটি নির্বাচনে ভোট দিয়েছি। এবারও ভোট দেবেন। বড় দু’দলের প্রার্থী গতবারের চেয়ে আলাদা। গত নির্বাচনে দল দেখে ভোট দিয়েছি। এবার দলকে কম গুরুত্ব দেবো। প্রার্থীর যোগ্যতা, প্রভাব, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং নির্বাচনে বিজয়ী হলে কাজ করার সম্ভাব্যতা ভোটদানে তার চিন্তা চেতনাকে প্রভাবিত করবে।’
মহানগরের ডেগেরচালা এলাকার বাসিন্দা মুদি ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম (৩৫) বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে মেয়রের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন পড়েনি। কিন্তু মহানগরের ভেতরের রাস্তা-ঘাটে বর্ষাকালে কাদা আর শুষ্ক মৌসুমে ধূলায় পরিপূর্ণ থাকে। উন্নয়নের জন্য যিনি কাজ করবেন এবং নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এরকম প্রতিশ্রুতি যে প্রার্থীর কাছ থেকে পাওয়া যাবে তাকেই ভোট দেবো।’
টঙ্গী মরকুন এলাকার বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন পেশায় একজন কাঠ মিস্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কাজ করি পারিশ্রমিক নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। সন্তানাদি পড়াশোনা করে। কারও কাছে কিছুর জন্য হাত পাতি না। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা, যুবকদের জন্য মাদক প্রতিরোধের ব্যবস্থা, সাধারণের চলাফেরার জন্য নির্বিঘ্নে পথচলা আমাদের চাহিদা। ভয়শূন্য মহানগর চাই আমরা। আমি চাইবো দিনেও যেমনি চলাফেরা করি তেমনি রাতেও কাজ শেষে যেন সদস্যদের কাছে ফিরতে পারি। এরকম নিশ্চয়তার কথা যার কাছে শুনতে পাবো তাকেই আমি ভোট দেবো।’
মহানগরের ভাওয়াল মির্জাপুর কলেজের সহকারী অধ্যাপক আবুল হোসেন বলেন, ‘যোগ্য প্রার্থী দেখে ভোট দেবো।’
কীভাবে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করবেন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যে প্রার্থী এলাকার সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করে। মানুষের সুখে-দুঃখে সবসময় পাশে থাকে, উন্নয়ন কাজ সুষ্ঠু-সুন্দরভাবে তদারকি করে এবং কাজ করার মানসিকতা থাকে তিনিই যোগ্য প্রার্থী।’
আরও পড়ুন:
গাজীপুরে বৈধতা পেলেন ৯ মেয়র ও ৩৬৮ কাউন্সিলর প্রার্থী