নরসিংদীতে প্রেমিকের কাছ থেকে তুলে নিয়ে প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে আট জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। শনিবার (২১ এপ্রিল) রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হাসান (প্রশাসন) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় নরসিংদী সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করার পর আজ (রবিবার) দুপুরে তাদের আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নরসিংদী শহরের দত্তপাড়া মহল্লার সম্রাট (২৮), রাঙ্গামাটিয়া মহল্লার আব্দুল হাইয়ের ছেলে সাকিব মিয়া (১৯), তরোয়া মহল্লার ইয়াকুব মিয়ার ছেলে জালাল উদ্দিন (১৮), শিবপুরের মুন্সেফের চর গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে নাজমুল হোসেন (৩১), ব্রাহ্মণপাড়া মহল্লার আসাদ মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (১৮), একই এলাকার মন্টু মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (২৭), সাহেপ্রতাব এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে রাকিব মিয়া (২০) ও শিবপুরের কুমরাদী এলাকার আবুল খায়ের এর ছেলে শাহ আলম (৩২)।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জাকির হাসান জানান, দুই বছর আগে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে নরসিংদীর শিবপুরের দুলাল পুরের আশিক শেখ নামে এক যুবকের সঙ্গে জয়পুরহাট জেলার বিধবা ওই নারীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমিক আশিক শেখের কথা মতো বিয়ে করার জন্য তিনি গত শুক্রবার রাতে নরসিংদীর সাহেপ্রতাব বাস্ট্যান্ডে এসে নামেন। সেখান থেকে প্রেমিক আশিক ও তার ফুফাতো ভাই মাসুমের সঙ্গে ওই নারী রিকশায় করে তাদের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে সাহেপ্রতাব এলাকায় মোটরসাইকেল করে আসা তিন যুবক তাদের গতিরোধ করে আশিককে জিম্মি করে। এসময় তার ভাই মাসুম পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তারা আশিককে আটক রেখে ওই নারীকে মহাসড়কের পাশে বাসাইল এলাকার নরসিংদী পৌর শিশু পার্কে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ওই নারীকে সেখান থেকে একটি প্রাইভেটকারে থাকা ৩ যুবকের হাতে তুলে দেয়। ওই তিন যুবক তাকে শিবপুর উপজেলার কুমরাদী এলাকার একটি পরিত্যক্ত মিলে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানেও একজন তাকে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণকারীরা ওই নারীকে প্রেমিক আশিকের হাতে তুলে দিলে সে তাকে বাড়ীতে নিয়ে যায়। পরে তার ফুফাতো ভাই মাসুম জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে ঘটনাটি জানালে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল গাফফার পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ধর্ষণকারী ও তাদের সহযোগীদের গ্রেফতার করে।
