X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে আড়াই লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবায় ২ চিকিৎসক

বরিশাল প্রতিনিধি
০৬ মে ২০১৮, ০৪:১৯আপডেট : ০৬ মে ২০১৮, ০৪:৪০

বরিশালে মুলাদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়ার বদলে কমে মুলাদী উপজেলার আড়াই লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় এখন হাসপাতালে চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র দুইজন। মুলাদী উপজেলার মানুষ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জের কাজিরহাটের একাংশের মানুষ মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের উপরে নির্ভরশীল।

অপরদিকে উপজেলার দুইটি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রেও চিকিৎসক নেই।রোগীরা অভিযোগ করেছেন স্বাস্থ্য-সহকারীরাও বেশিরভাগ সময় অনুপস্থিত থাকেন। 

সরকার স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করলেও সেখানে মিলছে না চিকিৎসাসেবা। কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা কোনদিন আসবেন তা কেউ জানেন না। এসব কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য বরাদ্দ ওষুধ কোথায় যায়, তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। চিকিৎসাসেবার জন্য হাসপাতালে চিকিৎসক বৃদ্ধি এবং উপ-স্বাস্থ্য-কেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো সচল করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

হাসপাতালের সূত্র জানায়, ২০০৬ সাল থেকে শুরু হওয়া মুলাদী উপজেলা হাসপাতালটি ২০১৬ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের জন্য ভবন নির্মাণ ও অন্যান্য কার্যক্রম শেষ হয়।

এরপর ৫০ শয্যা হাসপাতালের জন্য ২৮ জন চিকিৎসকের বরাদ্দ দেয়া হয়। তবে এর বিপরীতে কাগজ-কলমে ছয়জনকে নিক্তুক্ত দেখানো হলেও বা¯তবে চিকিৎসা দিচ্ছেন দুইজন চিকিৎসক।

কাগজ-কলমে বাকি চারজন চিকিৎসকের মধ্যে ডা. প্রসিনজিৎ সাহা শুভ তিন মাস আগে ছুটিতে গিয়ে আর হাসপাতালে যোগ দেননি। তিনি কোথায় আছেন তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানেন না। বাকিদের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৩ বছর আগে ডা. আফজাল করিম বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ডেপুটেশনে যান। তার ডেপুটেশন শেষ না হওয়ায় মুলাদী হাসপাতালে তিনি যোগদান করছেন। 

৫ মে সকালে ডা. শাকিল খান যোগদান করলেও তিনি কতদিন থাকবেন তা নিয়ে রোগীরা সংশয় প্রকাশ করেছেন।  শুধুমাত্র ডা. মেহেদী হাসান খান এবং কনসালট্যান্ট ডা. সুব্রত সাহা নিয়মিত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। 

এভাবে ২৮ জন ডাক্তারের মধ্যে ২৪টি পদ শূন্য, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দাফতরিক কাজে ব্যস্ত এবং আরেকজন চিকিৎসক অনিয়মিত থাকায় ভেঙে পড়েছে চিকিৎসাসেবা। ফলে মাত্র দুইজন চিকিৎসকই রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন।

হাসপাতালে ২৪ জন নার্সের কাজ করছেন ১৩ জন। স্টোরকিপার, পরিসংখ্যানবিদ, এক্সরে টেকনেশিয়ান, ল্যাব টেকনেশিয়ান, সিকিউরিটি গার্ড, বাবুর্চিসহ বেশ কয়েকটি পদে লোক না-থাকায় ব্যাহত হচ্ছে বিভিন্ন কার্যক্রম। বন্ধ রয়েছে হাসপাতালে প্যাথলজি ল্যাবসহ সব প্রকার ডায়াগনস্টিক কার্যক্রম। রোগীরা বাধ্য হয়েই বাইরে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাচ্ছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইয়েদুর রহমান জানান, দুইজন চিকিৎসক দিয়ে মুলাদী, হিজলা ও কাজিরহাট এলাকার প্রায় আড়াই লাখ মানুষের চিকিৎসা দেয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। ২৪ জনের মধ্যে কমপক্ষে ১৫-১৬ জন চিকিৎসক থাকলেও মানুষকে কিছুটা সেবা দেয়া যায়।

 

/এমএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
দ্বিতীয় বিয়ে করায় ছেলের আঘাতে প্রাণ গেলো বাবার
দ্বিতীয় বিয়ে করায় ছেলের আঘাতে প্রাণ গেলো বাবার
নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, শিশুসহ নিহত ৮
নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, শিশুসহ নিহত ৮
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
লাল কৃষ্ণচূড়া, বেগুনি জারুলে ছুঁয়ে যায় তপ্ত হৃদয়
লাল কৃষ্ণচূড়া, বেগুনি জারুলে ছুঁয়ে যায় তপ্ত হৃদয়
সর্বাধিক পঠিত
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!