X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

গোমতীর পানি বৃদ্ধি, তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলের হাজার একর সবজি

মাসুদ আলম, কুমিল্লা
২১ মে ২০১৮, ২১:০৬আপডেট : ২১ মে ২০১৮, ২১:০৬

গোমতীর পানি বৃদ্ধি, তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলের হাজার একর সবজি ভারী বর্ষণ আর উজহানের পাহাড়ি ঢলের কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে গোমতী নদীর পানি। গত দু’দিনের ভারী বর্ষণের পাশাপাশি উজানের ঢলে গোমতীর চরের হাজার একর গ্রীষ্মকালীন সবজি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের সহস্রাধিক পরিবার। পানি বেড়ে এখন বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে নদীর দুই তীর উপচে পানি প্রবাহিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গোমতী নদীর আদর্শ সদর উপজেলার বানাশুয়া, রত্নবতী, চাঁনপুর, টিক্কারচর এবং বুড়িচং উপজেলার বালিখাড়া,কামাড়খাড়া, শ্রীপুর ও গোবিন্দপুর অংশে ঘুরে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত দু’দিন ভোররাতে ও সকালে ভারী বর্ষণ এবং সীমান্তবর্তী ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে গোমতীর চর ডুবে যায়। এতে সংগ্রহের অপেক্ষায় থাকা কোটি টাকার গ্রীষ্মকালীন চাল কুমড়ো, ঢেড়শ, বরবটি, করলা, কাকরোল, পুঁই শাকসহ শতাধিক হেক্টর বোরো ধান পানির নিচে তলিয়ে যায়।
গোমতীর আদর্শ সদর উপজেলার শাহাপুর এলাকার কৃষক আবদুল মজিদ, মোতালেব হোসেন, বাতেন মিয়া জানান, গত দুই দিনের ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে চরে তাদের উৎপাদিত করলা, ঢেড়শ,বরবটির ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
বুড়িচং উপজেলার কামাড়খাড়া, বালিখাড়া ষোলনল, শ্রীপুর, গোবিন্দপুর এলাকার অন্তত কুড়িজন সবজি চাষি জানান, চরে তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন জাতের শাক-সবজি সংগ্রহের অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু সংগ্রহের আগেই পানিতে তলিয়ে গেল।
বালিখাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ওবায়েদ নামে এক সবজি চাষি বাঁশের ঝুড়ি নিয়ে পানি ঠেলে চরের মধ্যে থেকে তার উৎপাদিত জালি কুমড়ো তুলে আনার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু পানির তোড়ে জালি কুমড়োগুলো ফেলে চলে আসেন। স্থানীয় এক এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে অন্যের জমিতে সবজি চাষ করেছিলেন তিনি। এখন ফসল পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় ঋণ পরিশোধ নিয়ে চিন্তিত আছেন।
গোমতীচরের কৃষকদের ক্ষতির বিষয়ে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক দিলিপ অধিকারী বলেন, ‘গোমতীচরে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরের সবজি ক্ষেত ও বেশ কয়েক হেক্টর বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। ’
এদিকে চর ডুবে পানি বেড়িবাঁধের কাছে চলে আসায় নদীর ভিতরে বসবাস করা সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গোমতীর চাঁনপুর, পালপাড়া, গোলাবাড়ী এলাকার পাঁচশতাধিক পরিবার ও বুড়িচং-দেবিদ্বার ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মিলিয়ে প্রায় সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। রাতে পানি বাড়তে থাকলে চরের বাসিন্দারা তাদের ঘরে মালামাল গোমতীর তীরে তুলে আনার চেষ্টা করলেও ভোররাতে ভারী বর্ষণের কারণে তা আর সম্ভব হয়নি।
তবে কুমিল্লা আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. ইসমাইল ভূইয়া জানান, আগামী দুই একদিনে বৃষ্টিপাত কমে স্বাভাবিক আবহাওয়া বিরাজ করবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল লতিফ বলেন, ‘আমি নতুন যোগ দিয়েছি। গোমতীর পানি বৃদ্ধির বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।’

/এআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মীনা বাজার এখন মিরপুর-১২ নম্বরে
মীনা বাজার এখন মিরপুর-১২ নম্বরে
কুবিতে উপাচার্য-ট্রেজারার-প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, ৩ দফতরে তালা
কুবিতে উপাচার্য-ট্রেজারার-প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, ৩ দফতরে তালা
ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে: ম্যাক্রোঁ
ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে: ম্যাক্রোঁ
রবিবার থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে, শনিবারও ক্লাস চলবে
রবিবার থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে, শনিবারও ক্লাস চলবে
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা