নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার তেতুলিয়া থেকে গাগলাজুর পর্যন্ত ৯ দশমিক ৮ কিলোমিটার হাওরের ডুবন্ত সড়ক সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ভেঙে যাচ্ছে সড়ক।
হাওরের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে দরপত্র আহ্বান করে মোহনগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ এলজিইডি। দরপত্রে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে কাজ পায় মেসার্স সাহাব উদ্দিন ও সমীর চৌধুরী নামে দুইটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজের ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৩ কোটি ২২ লাখ টাকা ও প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয় ১ বছর। কিন্তু, আগাম বন্যার কারণে গত বছর কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা।
গাগলাজুর এলাকার বাসিন্দা কাজল চৌধুরী বলেন, ‘রাস্তার কাজে অনেক অনিয়ম হয়েছে। যে সময় ঠিকাদাররা কাজ করে তখন এলজিইডির লোকজন থাকে না, ফলে ঠিকাদাররা নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করে। যে জন্য কাজ চলাকালেই রাস্তা ভেঙে গেছে। মূলত প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য।’
মোহনগঞ্জের গাগলাজুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘আমি বার বার এলজিইডি ও ঠিকাদারের হস্থক্ষেপ চেয়েছি। কিন্তু, কোনও কাজ হয়নি।’
ঠিকাদারের প্রতিনিধি সাব ঠিকাদার হারুণ অর রশিদ বলেন, ‘ভারী যানবাহন চলার কারণে সড়কের এ অবস্থা।’
জেলা কৃষকলীগের সভাপতি কেশবরঞ্জন সরকার বলেন, ‘অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদেরকে আইনের আওতায় এনে টাকা ফেরত নিয়ে ঠিকভাবে পুনরায় কাজ বাস্তবায়ন করা হোক।’
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এলজিইডির মোহনগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুব আলম বলেন, ‘প্রকল্পের পিডি নিজে কাজ দেখে গিয়েছিলেন। কিন্তু, পরে এই রাস্তায় ওভারলোডেড গাড়ি, ট্রাক, ভেকু চলাচলের কারণে রাস্তার এমন দশা হয়েছে। তবে, আমরা ঠিকাদারকে বলেছি রাস্তার কাজ পুনরায় করার জন্য।’