X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাঁশের সাঁকোই ভরসা ২০ হাজার মানুষের

নীলফামারী প্রতিনিধি
২৬ মে ২০১৮, ১৮:৪৮আপডেট : ২৬ মে ২০১৮, ১৮:৫৯

চিকলি নদীর ওপরের বাঁশের সাঁকো (ছবি- প্রতিনিধি)

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পূর্ব ওসুরখাই ও পশ্চিম ওসুরখাইয়ের তোফায়েলের মোড় সংলগ্ন এলাকা দিয়ে বয়ে গেছে চিকলি নদী। এ নদীর ওপর নেই কোনও সেতু। সেতুর ওপর থাকা বাঁশের সাঁকোই ভরসা এ নদীর দুই ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষের। চিকলি নদীর ওপর সেতু না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই বিপুল সংখ্যক মানুষকে। প্রতিবছর বর্ষাকাল এলেই খালে পানি বেড়ে যায়। এতে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে পারাপার করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।

আব্দুর রশিদ নামে এক বৃদ্ধ জানান, বছরের পর বছর ধরে তারা চিকলি নদীর ওপর সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু তাদের দাবি পূরণ হয়নি। তাই বাঁশের সাঁকোই তাদের ভরসা। স্থানীয়রা নিজেদের উদ্যোগে প্রতিবছর এ সাঁকো তৈরি করেন বলেও জানান তিনি।

স্থানীয়রা জানান, চিকলি নদী পাড়ি দিয়ে তাদের সৈয়দপুর শহরে যেতে হয়। উপজেলা পরিষদ, হাসপাতাল, বিমানবন্দর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সবই সেখানে। বর্ষাকালে স্কুল-কলেজগামী ছাত্রছাত্রীদের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নেওয়া হয় না।

স্থানীয়রা আরও জানান, জনপ্রতিনিধিরা তাদের দুর্ভোগ দেখেও দেখেন না। ভোট আসলে তারা সেতু তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি  দেন। কিন্তু এরপর আর খবর রাখেন না।

কামারপুকুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার আনছারুল হক জানান, সেতু না থাকায় তাদের দুর্ভোগের সীমা নেই। সেতু থাকলে গাড়িতে করে সহজেই চলাচল করতে পারতেন তারা। কিন্তু সেতু না থাকায় তা পারেন না। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন বর্ষাকালে। ওই সময়টাতে সাঁকো দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করাটাও বিপদজনক হয়ে উঠে।

কামারপুকুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. লোকমান হোসেন জানান, চিকলি নদীর ওপর সেতু না থাকায় দুই ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

সৈয়দপুর উপজেলার স্থানীয় প্রকৌশল অধিদফতরের প্রকৌশলী এ এফ এম রায়হানুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বর্তমান নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য শওকত চৌধুরীর প্রচেষ্টায় সেতু তৈরির সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে। আশা করি, বরাদ্দ পাওয়া গেলে নিয়মনুযায়ী কাজ শুরু হবে।’

/এমএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ইউক্রেনের মার্কিন সামরিক সহায়তা আইনে স্বাক্ষর বাইডেনের
ইউক্রেনের মার্কিন সামরিক সহায়তা আইনে স্বাক্ষর বাইডেনের
নামাজ শেষে মোনাজাতে বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
নামাজ শেষে মোনাজাতে বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগে বৃষ্টির আভাস
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগে বৃষ্টির আভাস
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা