ঈদের আগে বেতন-ভাতার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) কর্মচারীরা। মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুপুরে তারা বিক্ষোভ করেন।
কর্মচারীদের অভিযোগ, সামনে ঈদ। অথচ এখনও আমাদের বেতন-ভাতা হয়নি। বেতন-ভাতা না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের জন্য ঈদের কেনাকাটাও করতে পারিনি।
তাদের আরও অভিযোগ, রাসিকের যে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। তা মানুষ দেখানো। কর্মচারীদের নিয়ে রাসিকের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ভোটের রাজনীতি শুরু করেছেন। আমাদের কর্মচারীদের সব পাওনা টাকা পরিশোধ করতে হবে। পাওনা পরিশোধ করা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো। এরই অংশ হিসেবে বিক্ষোভ করছি।
জানা গেছে, বিক্ষোভকারীরা দুপুর ১২টার দিকে রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মমিনের সঙ্গে দেখা করতে যান। এসময় মেয়রের এপিএস ওয়ালিদ মাহামুদ রানা আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। একপর্যায়ে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন কর্মচারীরা। একপর্যায়ে ওয়ালিদ মাহামুদ রানার সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন কয়েকজন কর্মচারী। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
সিটি ও পৌর ফেডারেশনের মহাসচিব দুলাল শেখ বলেন, ‘রাজশাহী সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন কাজের অজুহাত তৈরি করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করা হয়। এর ফলে শুধু কর্মচারী নয়, বকেয়া পড়ে আছে বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের টাকাও। এভাবে কোনও সিটি করপোরেশন চলতে পারে না।’
দুলাল শেখ আরও বলেন, ‘আমরা বেতন-ভাতা না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
এ বিষয়ে সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, ‘নিয়মিতভাবে বেতন-ভাতা দেওয়া হচ্ছে। যারা আন্দোলন করছেন, তারা আওয়ামী লীগের কর্মী। তার (বুলবুল) ভাবমূর্তি নষ্ট করতে একটি মহল এ ধরনের আনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ইন্ধন দিয়ে যাচ্ছে।’