লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় আব্দুল জলিল নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। আহত মাদক ব্যবসায়ীকে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাতীবান্ধা থানার ওসি ওমর ফারুক।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, এএসআই সঞ্জয় ও কনস্টেবল সত্য জিৎ রায়। তাদের হাতীবান্ধা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের হাতে গ্রেফতার গুলিবিদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল (৩৭) হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারী ইউনিয়ন পরিষদের উত্তর গোতামারী এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় ৬টি মাদক ও চোরাচালান মামলা রয়েছে।
এলাকাবাসী ও হাতীবান্ধা থানা পুলিশ জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের ছিড়া গাওচুলকা এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল জলিলসহ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী সংঘবদ্ধ হয়ে মাদক পাচার করছে। এ খবরের ভিত্তিতে ওসি ওমর ফারুকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে চারদিক ঘিরে ফেললে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা করে পালিয়ে যেতে থাকে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। এতে মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল জলিলের ডান পায়ের হাঁটুর নিচে গুলিবিদ্ধ হলে সে পড়ে যায়। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১০ ভারতীয় গাঁজা জব্দ করা হয়।
হাতীবান্ধা থানার ওসি ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘শুক্রবার রাত ৩টার দিকে উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের ছিড়া গাওচুলকা এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল জলিলসহ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী সংঘবদ্ধ হয়ে মাদক পাচার করছে-এমন গোপন সংবাদ পেয়ে আমরা সেখানে গেলে মাদক ব্যবসায়ীরা আমদের ওপর হামলা চালায়। গুলিবিদ্ধ আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে ৬টি মাদক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের গত ২৬ মে হাতীবান্ধা উপজেলায় নুর হাই নামে আরও একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতার করেছিল থানা পুলিশ। বর্তমানে নুর হাই লালমনিরহাট কারাগারে আটক রয়েছে।