পাহাড়ে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি করে পার পাওয়া যাবে না। পার্বত্য অঞ্চলের কোথায় কি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী সব খবর রাখছেন। সরকার বসে নেই। দীর্ঘ ২ বছর তালিকা করে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। তেমনি পার্বত্য অঞ্চলেও অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. নূরুল আমিন।
শুক্রবার (২৯জুন) সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এর আয়োজনে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নে করণীয় শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. নূরুল আমিন বলেন, ‘পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যেই হোক না কেন তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না। একটার পর একটা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাদেরও তালিকা করা হচ্ছে। মানুষের কাছে অসাধ্য বলে কিছুই নেই, সব কিছু করা সম্ভব। ’
রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্স মিলনায়তনে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা’র সভাপতিত্বে সেমিনারে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান তরুন কান্তি ঘোষ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত-সচিব সুদত্ত চাকমা, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ, সদর জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মোহাম্মদ রেদওয়ানুল ইসলাম বক্তব্য দেন।
স্বাগত বক্তব্য দেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমদ। সেমিনারে প্রবন্ধ পাঠ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আনন্দ বিকাশ চাকমা। আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন রাঙামাটি প্রেসক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি সুনীল কান্তি দে, রাঙামাটি বাঘাইছড়ি কাচালং কলেজের অধ্যক্ষ দেব প্রসাদ দেওয়ান ও রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী।
মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, শান্তি চুক্তির ২০ বছর পার হলেও এখনো শান্তি, সম্প্রীতির ও উন্নয়নের জন্য সেমিনার করা হচ্ছে। পাহাড়ে কিছু সস্ত্রাসী গোষ্ঠির কারেণ আজ শান্তি নেই পাহাড়ে। এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠি দ্বারা শান্ত পাহাড় আজ অশান্তিতে রূপ নিয়েছে। এর মূল কারণ পাহাড়ে অবৈধ চাঁদাবাজি। এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি-হানাহানি চলছে। পাহাড়ে যদি অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ না হয়, তাহলে পাহাড়ে শান্তি ফিরবে না। পাহাড়ে শান্তি না থাকলে উন্নয়নও সম্ভব না।’
সেমিনারে জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, প্রতিষ্ঠান প্রধান, সংবাদকর্মী ও রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত থেকে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।