X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে নদী ভাঙনের কবলে ১৫ গ্রাম

বরিশাল প্রতিনিধি
০৮ জুলাই ২০১৮, ০৯:৩৯আপডেট : ০৮ জুলাই ২০১৮, ০৯:৫০

নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা বর্ষার শুরুতেই বরিশালের মুলাদী উপজেলার ১৫টি গ্রাম আড়িয়াল খাঁ ও জয়ন্তী নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে। অব্যাহত ভাঙনে উপজেলার মানচিত্র পাল্টে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

স্থানীয়রা জানান, নদী ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে এসব গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে এবং উপজেলায় পাঁচ সহস্রাধিক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়বে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাকির হোসেন জানান, ভাঙন কবলিত গ্রামগুলোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলার চর কালেখান, সফিপুর, বাটামারা, নাজিরপুর, মুলাদী সদর ও কাজিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা জানান, গত এক সপ্তাহে জয়ন্তী নদীর ভাঙনে উপজেলার চর কালেখান ইউনিয়নের ছত্রিশ-ভেদুরিয়া বাসস্ট্যান্ড নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

নদী ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে উপজেলার ১৯৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত চরলক্ষ্মীপুর ফাজিল মাদ্রাসা, সফিপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাটামারা ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং নাজিরপুর ঘোষেরচর দাখিল মাদ্রাসা।

জয়ন্তী ও আড়িয়াল খাঁ নদীর ভাঙনে উপজেলার পশ্চিম চরকালেখান ঢালী বাড়ি লঞ্চঘাট এলাকা, সফিপুর ইউনিয়নের চরমালিয়া, ছোট লক্ষ্মীপুর, ব্রজমোহন, বাটামারা ইউনিয়নের চরবাটামারা খেয়াঘাট এলাকা, সেলিমপুর খেয়াঘাট, চরআলিমাবাদ, চরসাহেবরামপুর, চরআলগী, নাজিরপুর ইউনিয়নের ঘোষেরচর, কাচ্চিচর, ভূইয়াবাড়ি লঞ্চঘাট, মুলাদী সদর ইউনিয়নের ভাঙ্গারমোনা, চরলক্ষ্মীপুর নন্দীর বাজার এলাকা, কাজিরচর ইউনিয়নের পশ্চিম ডিক্রীরচর গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা ভাঙনের কবলে পড়েছে।

কাজিরচরের বাসিন্দা রাজু ভূঁইয়া জানান, শুক্রবার রাতে প্রায় ২০ শতক জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া একটি স-মিল, একটি মসজিদ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

তিনি আরও জানান, নদী ভাঙনের ফলে কাজিরচর ও রামারপোলবাসীর জনজীবন হুমকির মুখে পড়েছে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী বালুখেকো চক্র প্রতিবছর অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।

এসময় স্থানীয় রুহুল আমিন ভূঁইয়া জানান, ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি ২০১৬ সালে বরিশালের জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছিলেন। তৎকালিন জেলা প্রশাসক ড. গাজী সাইফুজ্জামান ওই বছরের ১৮ জুন ভাঙন রোধকল্পে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বিষয়টি অবগত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেন।

তিনি আরও জানান, জেলা প্রশাসক হঠাৎ বদলি হওয়ায় ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগটির আর সুফল মেলেনি। সম্প্রতি নদী ভাঙন আরও তীব্র হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, নদী ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে খুব শিগগিরই এসব গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এতে করে উপজেলায় পাঁচ সহস্রাধিক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়বে।

 

 

/এসটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সরকারি প্রতিষ্ঠানে একাধিক পদে চাকরি
সরকারি প্রতিষ্ঠানে একাধিক পদে চাকরি
এখনই হচ্ছে না হকির শিরোপা নিষ্পত্তি, তাহলে কবে?
এখনই হচ্ছে না হকির শিরোপা নিষ্পত্তি, তাহলে কবে?
রবিবার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
রবিবার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
চুয়াডাঙ্গায় ৪২ পেরোলো তাপমাত্রা, জনজীবনে হাঁসফাঁস
চুয়াডাঙ্গায় ৪২ পেরোলো তাপমাত্রা, জনজীবনে হাঁসফাঁস
সর্বাধিক পঠিত
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
দুর্নীতির অভিযোগ: সাবেক আইজিপি বেনজীরের পাল্টা চ্যালেঞ্জ
দুর্নীতির অভিযোগ: সাবেক আইজিপি বেনজীরের পাল্টা চ্যালেঞ্জ
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
সারা দেশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় ছুটি ঘোষণা
সারা দেশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় ছুটি ঘোষণা
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি