আগামী ১৪ জুলাই শনিবার বরিশালে তিন লাখ ৫৩ হাজার ৫৫৬ শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে বরিশাল জেলার ১০ উপজেলায় ভিটামিন ৩ লাখ ৪ হাজার ৩৩১ জন এবং সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪৯ হাজার ২২৫ শিশুকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সোমবার জেলা সিভিল সার্জন অফিসের সভাকক্ষে এক সংবাদ সন্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেন জানান, আগামী ১৪ জুলাই শনিবার জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন। ওই দিন বরিশাল জেলার ০৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ০৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৩২ হাজার ৪৯৯ শিশুকে নীল রঙের এক লাখ ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। পাশাপাশি ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সের দুই লাখ ৭১ হাজার ৮৩২ শিশুকে লাল রঙের দুই লাখ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
তিনি বলেন, বরিশালের ১০ উপজেলার ৮৫টি ইউনিয়নের ২৫৫টি ওয়ার্ডে দুই হাজার ৪০টি টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবেন চার হাজার ১০০ জন কর্মী। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টিকাদান কেন্দ্র খোলা থাকবে।
সভিল সার্জন বলেন, কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর সব মসজিদে ইমামরা টিকাদান কর্মসূচির বিষয়ে মুসল্লিদের অবহিত করবেন। অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুকে রক্ষা করতে এই ভিটামিনের বিকল্প নেই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডেপুট সিভিল সার্জন ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল, জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট মো. বজলুল রহমান প্রমুখ।
এদিকে বরিশাল সিটি কপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মতিউর রহমান জানিয়েছেন, ১৪ জুলাই বরিশাল সিটি কপোরেশনের আওতায় ২২০টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ৪৯ হাজার ২২৫টি শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ০৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৪ হাজার ৯৫০টি শিশুকে নীল রঙের ১ লাখ ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। একইসঙ্গে ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সের ৪৪ হাজার ২৭৫ শিশুকে লাল রঙের ২ লাখ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ওইদিন সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ, সদর হাসপাতাল, শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ২২টি প্রতিষ্ঠানের ৪৭৪ জন কর্মী শিশুদের এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কাজ করবেন।