সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢলে বেশ কিছু সড়কের অবাকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ফসলের জমিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েকদিনের পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাহাড়ি ঢলের কারণে ছাতক-সুনামগঞ্জ সড়কের কাঞ্চনপুর, রাজেন্দ্রপুর গুয়ারাই ও দোহালি অংশে চারটি ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর সড়কের শক্তিয়ারখলা অংশে ঢলের পানিতে সড়কে বেশ কয়েক জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
সুনামগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইকবাল আহমদ বলেন, পানি নেমে যাওয়ার পরপরই ঢলের ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের বেশিরভাগ অংশ মেরামত করা হয়েছে। এখন এসব রুটে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। পাহাড়ি ঢলের পানি দীর্ঘদিন অবস্থান না করায় ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে।
এছাড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, পাহাড়ি ঢলে দোয়ারাবাজার, জামালগঞ্জ ছাতক ও সদও উপজেলার ৫৫ হেক্টর আউশ জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার ও সদর উপজেলার ১১ হেক্টর আমন জমির বীজতলা পানিতে নষ্ট হয়েছে। এই তিনটি উপজেলার ৩৫ হেক্টর সবজি নষ্ট হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বশির আহম্মদ সরকার বলেন, পানি দ্রুত সওে যাওয়ায় কৃষিতে ক্ষয়ক্ষতি খুব কম হয়েছে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা আবারও বীজ রোপন করতে পারবেন। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করছেন।