আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দলের মেয়র প্রার্থী মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে নির্বাচনি প্রচার মিছিল করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মহানগর ও জেলা ইউনিট কমান্ডের উদ্যোগে এই প্রচার মিছিল করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর শহীদ কামারুজ্জামান চত্বর সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে থেকে নির্বাচনি প্রচার মিছিল বের করেন মুক্তিযোদ্ধারা। প্রচার মিছিলে অংশ নেন মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। মিছিলটি নিউ মার্কেটের সামনে দিয়ে অলকার মোড় হয়ে জিরোপয়েন্টের পাশ দিয়ে সোনাদীঘীর মোড়, মনিচত্বর হয়ে সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে অনুষ্ঠিত হয় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ।
সমাবেশে মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, যে সোনার বাংলা গড়ে মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, সেই বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই বাংলাদেশে, এই রাজশাহীতে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি যেন আর এমপি বা মেয়র না হতে পারে, ক্ষমতায় না আসতে পারে সেজন্য মুক্তিযোদ্ধাদের কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহীর উন্নয়ন থেমে গেছে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হলে, এমন প্রচার করলে আমাদের বিজয় নিশ্চিত।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রামাণিক। এ সময় অন্যদের মধ্যে মহানগর কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল মান্নান, ডেপুটি কামান্ডার রবিউল ইসলাম, সাবেক কমান্ডার সাইদুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী বরজাহান, জেলা কমান্ডার শাহাবুল মাস্টার, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমানসহ অন্যরা মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নগরীর আরডিএ মার্কেট, কাপড়পট্টি ও স্বর্ণপট্টি এলাকায় গণসংযোগ করেন মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এ সময় বিভিন্ন দোকানে দোকানে গিয়ে লিফলেট বিতরণ ও নৌকা মার্কায় ভোট চান। এরপর সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির অফিসে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় সভায় অংশ দেন খায়রুজ্জামান লিটন।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীর অনেক উন্নয়ন করার আছে। নির্বাচিত হলে সবার পরামর্শ নিয়ে কাজ করা হবে। নগরীতে শিল্প-কারখানা গড়ে লক্ষাধিক ছেলেমেয়ের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো। এসিবি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে রাজশাহীর সব ব্যবসায়ীদের স্বল্প সুধের ঋণের ব্যবস্থা করবো।
তিনি আরও বলেন, নৌকা হচ্ছে স্বাধীনতার প্রতীক, নৌকা উন্নয়নের প্রতীক, রাজশাহীর উন্নয়নের জন্যে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করুন। নগরবাসীর কাঙ্ক্ষিত সব উন্নয়ন হবে।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, নগরীতে পোস্টার লাগানোর অনেক জায়গা আছে। বিএনপি যদি নেতাকর্মীদের উৎসাহ না দিতে পারে, কাজে উজ্জীবিত না করতে পারে, এখানে আমাদের তো কোনও দায় নেই।
তিনি আরও বলেন, গত পাঁচ বছর নগরীর কোনও উন্নয়ন হয়নি। সেই কারণে নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে বিএনপির মেয়র ও তার কর্মী-সমর্থকরা অপপ্রচারের লিপ্ত হয়েছে।