বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল অভিযোগ করেছেন, ‘পুলিশ বাহিনী আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে সরাসরি সহযোগিতা করছে। তারা বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। যতই গ্রেফতার, মামলা ও হুমকি আসুক না কেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্বাচনি মাঠে থাকতে হবে। এই নির্বাচনে কোনোভাবেই আওয়ামী লীগকে ভোটকেন্দ্র দখল বা জালভোট প্রদান করতে দেওয়া হবে না।’
বৃহস্পতিবার মহানগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ড ও ২ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন। বুলবুলের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সাংসদ মিজানুর রহমান মিনু, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলনও গণসংযোগে অংশ নেন। বিএনপি নেতাকর্মীরা এসব ওয়ার্ডের বিভিন্ন বাজারসহ বাড়িতে বাড়িতে যান এবং ধানের শীষের জন্য দোয়া ও ভোট প্রার্থনা করেন। সমর্থকরা বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে ধানের শীষের পক্ষে স্লোগান দেন।
মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, ‘প্রতিটি কেন্দ্র কঠোরভাবে পাহারা দিতে হবে এবং ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা (নেতাকর্মীরা) কেন্দ্র পাহারা দেবেন। সেই সঙ্গে পোলিং এজেন্টরা ভোট গণনা করে ঘোষণা দেওয়া পর্যন্ত যেকোনও মূল্যে বুথে অবস্থান করবে।সেই সঙ্গে ধানের শীষের বিজয়ের মধ্য দিয়ে আগামীতে রাজশাহী থেকে বেগম জিয়ার মুক্তি ও হাসিনা সরকারের পতনের আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
রাজশাহী মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। বৃহস্পতিবার বিকালে রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনে মেয়র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনি এজেন্ট তোফাজ্জল হোসেন রিটার্নিং অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ প্রদান করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলেন মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, ‘পুলিশের এই দুই কর্মকর্তা আওয়ামী লীগ নেতাদের মতো আচরণ করছেন। তারা কোনও কারণ ছাড়াই বিএনপির নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে মামলা দিচ্ছেন, কারাগারে পাঠাচ্ছেন।’ সিটি নির্বাচনে বিএনপিকে কোণঠাসা করতে নেতাকর্মীদের এভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মহানগর বিএনপির সভাপতি বুলবুল।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ। কমিশন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে শতভাগ ব্যর্থ হচ্ছে। এই কমিশনের অধীনে দেশের কোথাও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। রাজশাহীতে যদি নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হয়, তবে এর দায়ভার নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে।’
আরও পড়ুন-