রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কাপ্তাই বড় বাজারে একটি ফার্মেসিকে আর্থিক জরিমানা ও দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। রবিবার (১৫ জুলাই) কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিনের ভ্রাম্যমাণ আদালত এই দণ্ড দেন।
ইউএনও রুহুল আমিন বলেন, ‘রবিবার সকালে কাপ্তাই বড় বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণ, আমদানি নিষিদ্ধ ভারতীয় ও মেয়াদোর্ত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির দায়ে হক মেডিক্যালের মালিক প্রদীপ সরকারকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আরও একটি ফার্মেসিকে সতর্ক করা হয়। এ সময় কয়েকটি ফার্মেসি বন্ধ করে পালিয়ে যায়।’
ইউএনও রুহুল আমিন বলেন, ‘ছয় ফিট বাই আট ফিট একটি কক্ষে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নাম দিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। লাইসেন্সও নেই। তাই কাপ্তাই ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও মেডিকম ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে মাত্র একজনই সব কাজ করছেন। রিপোর্টে কনস্যালট্যান্টের স্বাক্ষর নেই। অবাক করার ব্যাপার হলো এই রিপোর্ট দেখিয়েই ফার্মেসি থেকে কেউ কেউ ওষুধ কিনছেন। ফার্মেসিওয়ালারাও ওষুধ বিক্রি করছেন। আবার রিপোর্টের উল্টা পিঠে প্রেসক্রিপশন দেওয়া আছে। সেই প্রেসক্রিপশন কে লিখেছেন— তার নাম-পরিচয়ও নেই। ’
জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন বলেন, ‘মেডিক্যাল প্রশিক্ষণ এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি নিয়ন্ত্রণ অদ্যাদেশ ১৯৮২ আইনের ধারা ১৫ তফসিল (খ) তে বলা আছে— ৩৬টি আইটেম যখন থাকবে, তখন স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে সেসব প্রতিষ্ঠান ডায়াগনস্টি সেন্টার করার অনুমতি পাবে।’