রাজশাহী নগরীর সাগরপাড়া মোড়ে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পথসভায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা তদন্ত করে দেখছেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় কমিটির সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
ইসি শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘প্রত্যেক প্রার্থীকেই নিজ দলের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এটা করলে ককটেল বিস্ফোরণের মতো ঘটনা আর ঘটবে না।’
সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, ‘রাজশাহী সিটিতে নির্বাচনি পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। আগামী দিনগুলোতে এমন পরিবেশ বজায় থাকবে। এ নিয়ে আশঙ্কার কোনও কারণ নেই।’
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের ব্যাপারে শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আচরণবিধি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাচ্ছি। তবে এটা প্রার্থীদের নির্বাচনি সংস্কৃতি। অভিযোগ আমলে নেওয়া হচ্ছে; সু-নির্দিষ্ট অভিযোগ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক প্রার্থীকে পোলিং এজেন্ট দিতে হবে। তবে পরোয়ানাভুক্ত আসামি পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে না।’
ইসি বলেন, ‘নির্বাচনে ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের সঙ্গে থাকবে ৩০টি মোবাইল কোর্ট। প্রতিটি ওয়ার্ডে বিজিবির পাশাপাশি র্যাব ও পুলিশের মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। প্রতিটি কেন্দ্রে ২২-২৪ জন পুলিশ ও আনসার সদস্য থাকবে। রিটার্নিং অফিসারের সহযোগিতায় ১০ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার থাকবে। এ ছাড়া, ইসির পক্ষ থেকে প্রতি ওয়ার্ডে একজন করে নিজস্ব পর্যবেক্ষক থাকবে।’
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনারের সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ। এতে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমান।