X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

এক-এগারোর সময় শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে নেতৃত্ব দেওয়া ওসির অপসারণ দাবি

রংপুর প্রতিনিধি
১৮ জুলাই ২০১৮, ১৭:০৯আপডেট : ১৮ জুলাই ২০১৮, ১৮:২০

১/১১-র সময়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে বিশেষ ভূমিকা রাখেন রংপুর কোতোয়ালি থানার বর্তমান ওসি বাবুল হোসেন

এক-এগারোর (১/১১) সময় শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ এনে রংপুর কোতোয়ালি থানার ওসি বাবুল হোসেনের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে রংপুর মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতিকে গ্রেফতারের ওই ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর থেকে তারা এ দাবি তুলেছেন। বাবুল হোসেন সে সময় এসআই হিসেবে শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে দায়িত্ব পালনের সময় ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন বলেও অভিযোগ করেন তারা। বুধবার দুপুরে তারা রংপুর রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত ডিআইজি বছির আহাম্মেদের সঙ্গে দেখা করে ওসিকে অপসারণের দাবিতে আলটিমেটাম দিয়েছেন। এসময় ওসিকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলে  তাদের আশ্বাস দিয়েছেন ডিআইজি।

এ বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন।

আওয়ামী লীগ নেতারা অভিযোগ করে বলেন, ‘ওসি বাবুল হোসেন রংপুর কোতোয়ালি থানায় যোগদানের পর থেকে থানাকে নরক বানিয়ে রেখেছেন। ঠুনকো কারণে যাকে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে ইচ্ছেমতো ৩ থেকে ১৫ দিন আটকে রাখেন তিনি। পরে স্বজনদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে তাদের ছেড়ে দেন। এছাড়া ১০ হাজার টাকার কম দিলে কোনও মামলা রেকর্ড করেন না। দিনের পর দিন কাগজ ফেলে রাখেন। আসামি গ্রেফতার করাতে হলেও তাকে টাকা দিতে হয়। শুধু তাই নয়, থানার অন্যান্য পুলিশ অফিসারদেরও তাকে মামলা প্রতি টাকা দিতে হয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে।’

ডিআইজির সঙ্গে দেখা করার পর নেতারা সাংবাদিকদের জানান, ‘ওসি বাবুল হোসেনকে রংপুর থেকে প্রত্যাহার করা হবে বলে ডিআইজি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা এর বাস্তবায়ন দেখতে চাই। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’

এ ব্যাপারে জানতে ভারপ্রাপ্ত ডিআইজি বছির আহাম্মেদের সঙ্গে দেখা করলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আওয়ামী লীগের নেতারা তার কাছে বেশ কয়েকটি ছবি দিয়েছেন। এ ছাড়াও বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেছেন। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তদন্ত করে প্রমাণ পেলে আজই তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে কোতোয়ালি থানার ওসি বাবুল হোসেন তার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে মুখ্য ভূমিকা পালন করার ব্যাপারে ফেসবুকে দেওয়া ছবি নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাতে তিনি নিজের অবস্থান তুলে ধরেছেন।

তিনি পুরো ঘটনাকে মিথ্যা দাবি করে নিজেকে আওয়ামী ঘরানার লোক উল্লেখ করে বলেন, ‘তোফায়েল আহমেদসহ অনেক বড় বড় নেতা আমার সম্পর্কে জানেন। আমার ভাই ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। এখনও এক ভাই ছাত্রলীগের থানা সেক্রেটারি।’

নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ওসি বাবুল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার অপচেষ্টা করছে। তাকে হেয় করার জন্য এসব করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।

/জেবি/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
কুড়িগ্রাম জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালককে শোকজ
কুড়িগ্রাম জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালককে শোকজ
বিদ্যুৎ ও গ্যাস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া ঋণ মিলবে না
বিদ্যুৎ ও গ্যাস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া ঋণ মিলবে না
ওমরা পালনে সৌদি গেলেন পাটমন্ত্রী
ওমরা পালনে সৌদি গেলেন পাটমন্ত্রী
গাজায় আবিষ্কৃত গণকবরের স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় আবিষ্কৃত গণকবরের স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা