গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে নন্দিত কথাশিল্পী, নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, দুই ছেলে নিনিত, নিষাদ, শ্বশুর মোহাম্মদ আলী তাঁর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া হিমু পরিবহন, চেতনায় হুমায়ূন হৃদয়ে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি তাঁর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান।
মেহের আফরোজ শাওন বলেন, প্রকাশনা এলাকা বাংলাবাজার ও বাংলা একাডেমি—এমন স্থানে হুমায়ূন আহমেদের নামে একটি চত্বর হবে এরকম স্বপ্ন আমরা দেখি। এটি বাস্তবে হলেও দেখব, না হলেও দেখব। শ্রদ্ধা জানানোর পর নুহাশপল্লী চত্বরে কোরআনখানি ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেয়।
নুহাশপল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানান, নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় হুমায়ূন আহমেদের হাতেগড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠেও অনুরূপ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন, প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ২০১১ সালে তাঁর অন্ত্রে ক্যানসার ধরা পড়ে। ২০১২ সালের মাঝামাঝি সময় যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার করা হয়। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে মরদেহ ঢাকায় এনে ২৪ জুলাই গাজীপুরের পিরুজালী গ্রামে তাঁর প্রিয় নুহাশপল্লীর লিচুতলায় চিরনিদ্রায় তাকে শায়িত করা হয়।