লালমনিরহাটে গত তিন দিনে চার শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা লালমনিরহাট সদর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এসব ঘটনায় এক ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার (১৮ জুলাই) রাতে পৃথক চারটি মামলা হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর থানা ও আদিতমারী থানা পুলিশ ও লালমনিরহাট সদর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট পৌরসভার শহীদ শাহজাহান কলোনীর মফিজুল ইসলামের ৪ বছর বয়সী মেয়ে শিশুকে মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) বিকাল ৩টার দিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন চালায় শিশুটির ধর্ম বাবা একই এলাকার হাবিবুর রহমান (৩৫)। লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের দক্ষিণ শিবেরকুটি এলাকার আনোয়ার হোসেনের ৪ বছর বয়সী মেয়ে শিশুকে বুধবার (১৮ জুলাই) বিকালে একই এলাকার গফুর আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন (৩০) শিশুটিকে পাশবিক যৌন নির্যাতন করে পালিয়ে যায়। একই উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের বড়দরগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ও জহুরুল ইসলামের কন্যা শিশুকে বড় জ্যাঠার বাড়ীতে একা পেয়ে প্রতিবেশী শফিকুল ইসলাম (২৮) শিশুটিকে পাশবিক যৌন নির্যাতন চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় হাতেনাতে ধরে লালমনিরহাট সদর থানার পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়। এই তিন শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় লালমনিরহাট সদর থানায় পৃথক তিনটি মামলা হয়।
অপরদিকে আদিতমারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের আরাজি দেওডোবা এলাকার ভ্যানচালক এরশাদ আলীর চার বছর বয়সী মেয়ে শিশুকে ধর্ষণ করে একই এলাকার ৭ম শ্রেণির ছাত্র মো. শিমুল। এ ঘটনায় আদিতমারী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আহসান আলী বাবু বলেন, ‘যৌন নির্যাতনের অভিযোগে চারটি শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের সুচিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এসব শিুশুর অভিভাবকদের থানা পুলিশের সহযোগিতা নিতে বলা হয়েছে।’
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মাহফুজ আলম ও আদিতমারী থানার ওসি মাসুদ রানা বলেন, ‘হঠাৎ শিশু ধর্ষণের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। মামলাগুলো অধিকতর সতর্কতার সঙ্গে দেখা হচ্ছে। শিমুল নামে একজন ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিদেরকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
