সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তি ও কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিষয়ে লেখালেখির অভিযোগে অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এ কে এম নুর আহমদ।
তিনি বাংলাট্রিবিউনকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তি ও বিশ্ববিদ্যালয় লণ্ডভণ্ড করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফেসবুকে দেওয়া পোস্টের বিষয়ে গত মঙ্গলবার উপাচার্যের কাছে অভিযোগ আসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) বিষয়টি তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে আইন অনুষদের ডিনকে। সেই সঙ্গে কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
কমিটির সদস্যরা হলেন, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.এ বি এম আবু নোমান, সহকারী প্রক্টর মিজানুর রহমান, ডেপুটি রেজিস্ট্রার হাসান মিয়া।
এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির সদস্য ও সহকারী প্রক্টর মিজানুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,‘তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে রবিবার আনুষ্ঠানিক চিঠি পেয়েছি। আশার করছি খুব শিগগিরই কাজ শুরু করতে পারবো এবং যথা সময়ে প্রতিবেদন জমা দিতে পারবো।’
এর আগে, গত মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) ওই দুই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার দাবি জানিয়ে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। এসময় ছাত্রলীগ ওই দুই শিক্ষককে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে।
এদিকে, দুই শিক্ষককে হত্যা ও হুমকির প্রতিবাদে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের রবিবারের পূর্বনির্ধারিত মানববন্ধন কর্মসূচি ছাত্রলীগের বাধার মুখে অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। শিক্ষার্থীরা সামাজ বিজ্ঞান অনুষদের সামনে মানববন্ধন করতে চাইলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের সড়িয়ে দেয়। পরে মুখে কালো কাপড় বেঁধে এর প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থীরা।