বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে সমর্থন দিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। জাপা মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বরিশাল মহানগর ও জেলা কমিটির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের নৌকা প্রতীকের পক্ষে একযোগে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে বিসিসি নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙল প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘কেন্দ্র কী করেছে আমি এখনও কিছু জানি না। আমি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি এবং নির্বাচনের মাঠে থাকবো।’
বুধবার (২৫ জুলাই) আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রতি সমর্থন জানান এরশাদ। এরশাদের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। এই বার্তা অনুযায়ী জাপা মহাসচিব বলেছেন, ‘একটি আধুনিক বরিশাল সিটি করপোরেশন বিনির্মাণ এবং দক্ষিণাঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে এ সিদ্ধান্তে (আওয়ামী প্রার্থীকে সমর্থন) বিভ্রান্তির কোনও অবকাশ নেই।’ নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে বিজয়ী করতে জাপা নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগের পাশে থেকে কাজ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি। এই নির্দেশের পর বুধবার সন্ধ্যায় নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলন করে স্বতন্ত্র (জাপা বিদ্রোহী) প্রার্থী বশির আহমদ ঝুনু দলীয় সভাপতির নির্দেশে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সেরনিয়াবাদ সাদিক আবদুল্লাহকে সমর্থন করে তার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন।
ঝুনু বলেন, ‘জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছেন। আমি কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে নিজেও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
প্রসঙ্গত, জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীক প্রত্যাশী ছিলেন জাপা বরিশাল সদর উপজেলা সভাপতি বশির আহম্মেদ ঝুনু। তবে ইকবাল হোসেন তাপসকে লাঙল প্রতীকের প্রার্থী ঘোষণা করায় বশির আহম্মেদ ঝুনু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হরিণ প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছিলেন।
এদিকে বিসিসি নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হেলালউদ্দিন জানিয়েছেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের তারিখ আগেই শেষ হয়ে গেছে। এখন কাউকে সমর্থন করে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা হবে অনানুষ্ঠানিকতা মাত্র।’
আরও পড়ন- বিসিসি নির্বাচনে আ. লীগের প্রার্থীকে এরশাদের সমর্থন