রাজশাহী নগরীর দড়িখরবোনা এলাকার রেললাইনের ধারে মতিনের চায়ের দোকান। মঙ্গলবার সকালে সেখানে বেশ কয়েকজন সেখানে বসে চা-বিস্কুট খাচ্ছিলেন। সঙ্গে চলছে সোমবারের (৩০ জুলাই) রাসিক নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিচার, বিশ্লেষণ ও আলোচনা।
দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা, বিএনপি প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের ভোট না দেওয়াসহ ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে রাসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।এ নিয়েই চায়ের কাপে ঝড় তুলছিলেন স্থানীয়রা।
মতিনের চায়ের দোকানে বসে থাকা ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী খোরশেদ আলমের সঙ্গে অন্যরা নির্বাচনের ফল নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তারা বলছিলেন, গতবার এই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মাত্র সাত ভোটে বিএনপি প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছিল।তবে এবার বড় ব্যবধানে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুস সোবহান লিটন জয়ী হয়েছেন। তবে কাউন্সিলর পদে বিএনপির প্রার্থী জিতলেও মেয়র পদে জিতেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
চা তৈরি করতে করতে মতিন বলে ওঠেন, ‘হয় তো বা আগের উন্নয়নের জন্য লিটন পাস করছে। আর বুলবুল গতবার পাস করে তো তেমন কোনও উন্নয়ন করতে পারেনি। আগের বারের মতো লিটন যদি আবারও উন্নয়ন করে এই চিন্তায় রাজশাহীবাসী তাকে মেয়র পদে নির্বাচিত করেছেন।’
একথা শুনে জামাল উদ্দিন নামের আরেকজন বলে ওঠেন, ‘বুলবুল তো নিজের ভোটই দেয়নি। তাহলে অন্যরা তাকে কীভাবে ভোট দেবে? তার উচিত ছিল বিনোদপুরে ইসলামিয়া কলেজ কেন্দ্রে না বসে থেকে লিটনের মতো কেন্দ্রে কেন্দ্রে গিয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া।’
এসময় মতিউর রহমান নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘বুলবুলের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার জন্য নির্বাচনে প্রতিবাদ জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল। তার দৃষ্টিতে ঠিকই ছিল মনে হয়।’
তার সঙ্গেই বসে থাকা সাগর আলী নামে একজন বলে উঠলেন, ‘না সে (বুলবুল) ঠিক করেনি। তার জন্য ৭৭ হাজার ৭০০ জন মানুষ ভোট দিয়েছে। সে যদি ভোট দিয়ে লিটনের মতো কেন্দ্রে কেন্দ্রে পরির্দশন করে ঘুরে বেড়াতো, তাহলে অন্যরাও তাকে ভোট দিতো। হারলেও এত বড় ব্যবধানে হতো না। তবে ফেসবুকে দেখলাম এক নারী আনসারের সঙ্গে বুলবুল খুব খারাপ আচারণ করেছে। যেটা এত বড় মাপের রাজনৈতিক ব্যক্তির কাছে আশা করেনি।’