X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

১৮ বছর ধরে ঝুলে সেরনিয়াবাত হত্যা মামলা

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
১৫ আগস্ট ২০১৮, ২২:০০আপডেট : ১৫ আগস্ট ২০১৮, ২২:১৪

আবদুর রব সেরনিয়াবাত (ছবি- অনলাইন থেকে নেওয়া)

১৮ বছর ধরে ঝুলে আছে আওয়ামী লীগ নেতা ও বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাতসহ আট জনকে হত্যার মামলার বিচার কার্যক্রম।

এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়েছে। আবদুর রব সেরনিয়াবাত হত্যা মামলার অভিযোগ ১৯৯৯ সালে গঠন করা হয়েছিল। পরে আসামি পক্ষের আবেদনে হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে দেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘মোহাম্মদপুর শেরশাহ শুরি রোডের বাসায় কামানের গোলার আঘাতে ১৩ জন মারা যায়। সেই মামলাটিও সাক্ষীর অভাবে ঝুলে আছে। আর শেখ ফজলুল হক মণি হত্যা মামলায় সিআইডির তৎকালীন কর্মকর্তা মুন্সী আতিকুর রহমান চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন। মুন্সী আতিকুর রহমান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি।’

মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বাইরে থাকা অনেক খুনিই এসব মামলার আসামি। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা থেকে হাইকোর্টের রায়ে যে তিন খুনিকে বাদ দেওয়া হয়, ওই তিন জন এসব মামলার আসামি। এসব মামলার বিচার কার্যক্রম দ্রুত শেষ শেষ করা উচিত।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুস সাত্তার বলেন, ‘কামানের গোলায় ১৩ জন মারা যাওয়ার মামলাটি এই আদালতে ছিল। বর্তমানে মহানগর দায়রা জজ-৪ আদালতে মামলাটি বিচারাধীন। আর আবদুর রব সেরনিয়াবাত হত্যা মামলাটিও আমার আদালতে নেই।’ তবে মামলাটি কোনও আদালতে আছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তা বলতে পারব না।’

১৯৭৫ সালে ২৭ মিন্টো রোডের হত্যাকাণ্ড

বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি ও তৎকালীন পানি, সেচ এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত থাকতেন ২৭ নম্বর মিন্টো রোডে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর সাড়ে ৫টার দিকে খুনিরা অস্ত্রের মুখে জোর করে বাড়িতে ঢোকে।

বঙ্গবন্ধুর খুনি সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, আজিজ পাশা ও নুরুল হুদার নেতৃত্বে বাসার ভেতরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে বাসার সব সদস্যকে ড্রয়িংরুমে জড়ো করে এবং আবদুর রব সেরনিয়াবাতসহ আট জনকে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে ২১ অক্টোবর আবুল হাসানাতের স্ত্রী সাহান আরা বেগম বাদী হয়ে রমনা থানায় এই মামলা করেন। মামলায় মেজর শাহরিয়ার, মেজর আজিজ পাশা, ক্যাপ্টেন মাজেদ, ক্যাপ্টেন নূরুল হুদা হিরুকে আসামি করা হয়। ১৯৯৭ সালের ৩০ জুলাই ১৫ সাবেক সেনা কর্মকর্তাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত ১৯৯৯ সালের ৪ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করেন। আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারিতে আসামি তাহের উদ্দিন ঠাকুর মামলাটির স্থগিতাদেশ চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। উচ্চ আদালত তিন মাসের জন্য মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার গঠনের পর এ স্থগিতাদেশ দফায় দফায় বাড়তে থাকে। ২০০৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সরকারের প্রতি দেওয়া রুলের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।

 

/এমএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
পাকিস্তানে জাপানি নাগরিকদের লক্ষ্য করে জঙ্গি হামলা
পাকিস্তানে জাপানি নাগরিকদের লক্ষ্য করে জঙ্গি হামলা
মাদারীপুরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
মাদারীপুরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বেসিস নির্বাচনে ওয়ান টিমের প্যানেল ঘোষণা
বেসিস নির্বাচনে ওয়ান টিমের প্যানেল ঘোষণা
ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি লিভারপুল, সেমিফাইনালে আটালান্টা
ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি লিভারপুল, সেমিফাইনালে আটালান্টা
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন