X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

কুষ্টিয়ায় ছাগল মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত খামারিরা

কুদরতে খোদা সবুজ, কুষ্টিয়া
১৭ আগস্ট ২০১৮, ১৭:০১আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০১৮, ১৭:০১

বিক্রির জন্য বাজারে আনা হয়েছে ছাগল আর কয়েক দিন পরেই কোরবানির ঈদ। কোরবানিকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ার বাজারে গরুর পাশাপশি ছাগলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই শেষ সময়ের মতো পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কুষ্টিয়ার ছাগলের খামারিরা। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে ঘাস-পাতা, ভুসি খাইয়ে ছাগল মোটাতাজা করছেন তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য মতে, কুষ্টিয়ার ছয় উপজেলায় ২০ হাজার ১১০টি ছগলের খামার রয়েছে। এসব খামারে ৬৪ হাজার ১৮২টি ছাগল এবং তিন হাজার ১২১টি ভেড়া মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে। তথ্য মতে, সদর উপজেলায় ১৩ হাজার ৮৯৫টি ছাগল মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও কুমারখালী উপজেলায় ছয় হাজার ৯০৯টি, মিরপুর উপজেলায় পাঁচ হাজার ৬৭৯টি, খোকসা উপজেলায় ছয় হাজার ২২৬টি ছাগল ও ভেড়া মোটাতাজা করা হচ্ছে। এছাড়া ভেড়ামারা উপজেলায় তিন হাজার ৩৫৮টি গরু এবং দৌলতপুর উপজেলায় ১৫ হাজার ১৮৪টি ছাগল মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে।

বেড়া দিয়ে খামারে পালিত হচ্ছে ছাগল সদর উপজেলার পোড়াদহ এলাকার নুরুল আলী জানান, ছাগলের খাদ্য সহজলভ্য হওয়ায় ছাগল পালনে খরচ কম লাগে। পাশাপাশি ছাগলের রোগবালাইও কম হয়। ফলে লাভের আশায় দিন দিন ছাগল পালনে আগ্রহী হয়ে উঠছেন এ অঞ্চলের মানুষ।

মিরপুর উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামের রাজিয়া বেগম জানান, তার খামারে প্রায় ১০টি ছাগল রয়েছে। ছাগলগুলোর জন্য প্রতিদিন ঘাস, ভুষি ও গাছের পাতা কিনে নিয়ে আনতে হয়। ঘাসের সঙ্গে গম, ভুট্টা, গমের ভুষি, চালের কুঁড়া, বিভিন্ন ডালের খোসা, খৈল ইত্যাদি দানাদার খাদ্যের মিশ্রণ ঘটিয়ে তাদের খেতে দিতে হয়। তাছাড়াও কোনও ছাগল অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় পশু চিকিৎসকের পরামর্শে তাদের ওষুধ খাওয়ানো হয়। স্বল্প পুঁজি নিয়ে ছাগলের খামারই সবচেয়ে ভালো। এতে লাভোবান হাওয়া যায়।

বিক্রির জন্য বাজারে তোলা হয়েছে ছাগল একই এলাকার আব্দুস সালাম জানান, ঈদকে সামনে রেখে অনেকেই ছাগল পালন করেছেন। কোরবানির ঈদে গরুর পাশাপশি ছাগলের চাহিদা থাকে ব্যাপক। তাই খামারিরা ছাড়াও অনেক কৃষক পরিবার ছাগল পালন করেন। এ বছর ছাগলের দামও বেশ ভালো পাওয়া যাচ্ছে। এ ধারা অব্যহত থাকলে আগামীতে ছাগল পালন আরও বাড়বে।

কুষ্টিয়া জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মো. সিদ্দীকুর রহমান জানান, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রতিটি উপজেলায় আমাদের কর্মীরা কাজ করছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার নেতৃত্বে প্রতি উপজেলায় মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ দুইটি হাটে এই মেডিক্যাল টিম কাজ করবে। পশুর রোগ প্রতিশেধক ভ্যাকসিন পর্যাপ্ত রয়েছে। খামারি এবং কৃষকদের চাহিদামতো তা ব্যবহার করা হবে।

 

/আইএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ভান মুন নোয়াম বমকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার
ভান মুন নোয়াম বমকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার
কারিগরির সনদ জালিয়াতি: সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ডিবি কার্যালয়ে
কারিগরির সনদ জালিয়াতি: সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ডিবি কার্যালয়ে
পরোয়ানা জারির ৬ বছর পর উপজেলা চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার
পরোয়ানা জারির ৬ বছর পর উপজেলা চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার
পি কে হালদারের সহযোগী সুকুমার-অনিন্দিতার জামিন চেয়ে আবেদন
পি কে হালদারের সহযোগী সুকুমার-অনিন্দিতার জামিন চেয়ে আবেদন
সর্বাধিক পঠিত
রাজকুমার: নাম নিয়ে নায়িকার ক্ষোভ!
রাজকুমার: নাম নিয়ে নায়িকার ক্ষোভ!
টাকা উড়ছে রেস্তোরাঁয়, নজর নেই এনবিআরের
টাকা উড়ছে রেস্তোরাঁয়, নজর নেই এনবিআরের
সাবেক আইজিপি বেনজীরের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করবে দুদক
সাবেক আইজিপি বেনজীরের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করবে দুদক
তাপপ্রবাহ থেকে ত্বক বাঁচানোর ৮ টিপস
তাপপ্রবাহ থেকে ত্বক বাঁচানোর ৮ টিপস
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ