বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বাড়তে শুরু করেছে ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি। গত কয়েকদিন ধরে কুড়িগ্রাম জেলার নদ-নদীগুলোর পানির পরিমাণ কমলেও সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টার পর থেকে ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে। এতে করে এ দুটি নদ-নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার (১১সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ১২ ঘণ্টায় ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে (ফেরিঘাট পয়েন্ট) ৯৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ২৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি বাড়তে শুরু করেছে। সোমবার বিকাল থেকে ধরলার পানি হঠাৎ করে অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বন্যা হতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। এখনও পানির লেভেল বিপদসীমার অনেক নিচে রয়েছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার (১১সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ১২ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার এবং চিলমারী পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার করে বৃদ্ধি পেয়েছে। তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৪৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সোমবার থেকে হঠাৎ করে ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা বন্যার আশঙ্কা করছেন। তবে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিন আল পারভেজ জানান, নদীর পানি বৃদ্ধিতে উদ্ভুত পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। প্রয়োজনে নদী তীরবর্তী এলাকার লোকজনদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা যাবে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, আগামী কয়েকদিন জেলার সবক’টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢল অব্যাহত থাকলে জেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।