উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধায় বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে এসব নদ-নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়ে রোপা আমন ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় তীব্র আকার ধারণ করছে নদী ভাঙন। এতে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষের মাঝে।
সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ব্রক্ষপুত্র নদের পানি গাইবান্ধার ফুলছড়ি ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৭ সে. মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া শহর রক্ষা বাঁধ ঘাঘট পয়েন্টে পানি বিপদসীমা ছুঁইছুঁই করছে। এছাড়া তিস্তা, যমুনা, করতোয়া ও ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যহত রয়েছে।
প্রতিদিন পানি বৃদ্ধি অব্যহত থাকায় বড় ধরনের বন্যার আতঙ্কে রয়েছেন চরাঞ্চল ও নিন্মঞ্চলের বাসিন্দারা। এছাড়া পানিতে তলিয়ে যাওয়া রোপা আমনসহ বিভিন্ন জাতের ফসলের ক্ষয়ক্ষতির আশষ্কায় দুশ্চিন্তা ও দিশেহারা কৃষকরা। এদিকে কয়েকদিনে পানি বৃদ্ধি আর স্রোতে ব্রক্ষপুত্র, তিস্তা ও যমুনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অন্তত শতাধিক পরিবার ভাঙনের শিকার হয়ে তাদের বসতবাড়ি ও অবাদি জমি হারিয়েছেন। হুমকির মুখে শতশত বসতভিটে, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। তবে তিস্তা ও ব্রক্ষপুত্রের ভাঙনে সদরের কামারজানি, শ্রীপুর, কাপাসিয়া, লালচামার, ফুলছড়ির উড়িয়া ও সাঘাটার হলদিয়াসহ বেশ কিছু এলাকায় ভাঙন আতষ্ক দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। অনেকে বসতভিটে হারিয়ে ছুঁটছেন উচু জায়গা আর নিরাপদ আশ্রয়ে।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল জানান, বন্যায় মানুষের জানমাল রক্ষাসহ সকল ধরনের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এটিএম মোনায়েম হোসেন জানান, ভাঙন এলাকা ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে জরুরী ভিত্তিতে কাজ করাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।