প্রতিবাদ সভাকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে আওয়ামীলীগের দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সভা পণ্ড হয়ে যায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে শতাধিক রাউন্ড গুলি ছুঁড়তে হয়েছে। সোমবার বিকেলে সাড়ে ৩টা থেকে দফায় দফায় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চৌমুহনী পাবলিক হল এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আক্তারুজ্জামান আনছারীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে, আজ বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে চৌমুহনী পাবলিক হল চত্বরে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী প্রতিবাদ সভায় যোগ দিতে বিভিন্ন স্থান থেকে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে পাবলিক হল চত্বরে সমবেত হতে থাকে। সভা শুরু হওয়ার আগ মুহুর্তে স্থানীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরনের সমর্থকদের সাথে চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সলের সমর্থকদের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ককটেল নিক্ষেপ, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে চৌমুহনী বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাজারের দোকান-পাট বন্ধ হয়ে যায়। এতে ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের দুইদিকে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈকত শাহিন বলেছেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে শটগানের অন্তত একশ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।