আগামী ১৫ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। সে হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্গা পূজা শুরু হতে বাকি মাত্র দুই দিন। তাই শেষ মুহূর্তে পূজার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বান্দরবানের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
দেবী দুর্গার আর্বিভাব ও দেবতা কর্তৃক অস্ত্রপ্রদান প্রদর্শনী, আরতি প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শরৎ মেলাসহ নানা আয়োজন শেষ হবে ১৯ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে।
দুর্গা মাকে বরণ করে নিতে জেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপে প্রস্তুতি, প্রতিমা তৈরি ও সাজসজ্জার কাজ চলছে পুরোদমে। শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা কারিগর ও সাজসজ্জকারীরা।
বান্দরবান জেলায় এবার সব মিলিয়ে পূজামণ্ডপ হবে ২৭টি। যার মধ্যে শুধু জেলা সদরেই পূজামণ্ডপ হবে ১০টি। স্থানীয় রাজার মাঠেই তৈরি করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে সবচেয়ে বড় এবং আকর্ষনীয় পূজামণ্ডপ।
এ বিষয়ে বান্দরবান কেন্দ্রীয় দুর্গা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৌরভ দাশ শেখর বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এ বছরও আমরা বড় করে দুর্গা পূজা উদযাপন করতে যাচ্ছি। এখানে একটি শারদ মেলা চলবে। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। এসব কিছু দেখতে বান্দরবানে প্রচুর পর্যটক ও দর্শনার্থীরা এখানে বেড়াতে আসবে বলে আমরা মনে করছি।’
বান্দরবান কেন্দ্রীয় দুর্গা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি লক্ষ্মীপদ দাস বলেন, ‘প্রতিমা নির্মাণ, প্যান্ডেল এবং দৃষ্টিনন্দন তোরণ সব কিছু তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। আশা করছি আগের তুলনায় ব্যাপক আয়োজনে এবং ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় পাহাড়ি বাঙালির উপস্থিতিতে ১৫-১৯ তারিখ পর্যন্ত উৎসব চলবে।’
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর নজরদারির আশ্বাস দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার। তিনি বলেন, ‘বান্দরবানের ৭টি থানায় ২৭টি পূজামণ্ডপে শারদীয় পূজা পালন করা হবে। এখানে আমরা ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এখানে পুলিশের পাশাপাশি আনসার বাহিনীর সদস্যরা থাকবে। মোবাইল পুলিশ, সাদা পোশাকধারী ও ডিবি পুলিশও থাকবে। এছাড়া কেউ যদি আমাদের কাছ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা চায়, আমরা তারও ব্যবস্থা নেবো।’