X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফেরি থেকে শিশু নিখোঁজ: বাবা-মা ও ফেরি কর্তৃপক্ষের ভিন্ন ভিন্ন দাবি

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
১৭ অক্টোবর ২০১৮, ২১:০৪আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০১৮, ২১:১১

রুকাইয়া সোমবার দিনগত রাত ২টার দিকে দৌলতদিয়া ৩নং ফেরি ঘাট এলকায় ফেরি থেকে হারিয়ে যায় রুকাইয়া নামের চার বছরের একটি শিশু। তার বাবা-মায়ের দাবি, ফেরির পকেট গেট খোলা থাকায় তাদের সন্তান পদ্মায় পড়ে গেছে। আর ফেরি কর্তৃপক্ষের দাবি, শিশুটির নদীতে পড়ে যাওয়ার কোনও সুযোগ ছিল না। বাবা-মায়ের অসচেতনতায় সে হারিয়ে গেছে।

রুকাইয়া ঝিনাইদহ জেলার শৈলকোপা উপজেলার বাজারপাড়া মহল্লার সেলিম রেজার মেয়ে। মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) সকাল থেকেই ফায়ার সাভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দল ও অন্যান্য সদস্যরা পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অনুসন্ধান করেও শিশুটির কোনও খোঁজ পায়নি। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত শিশুটির কোনও সন্ধান মেলেনি।

শিশুটির বাবা সেলিম রেজা জানান, ‘গত সোমবার রাতে আমাদের এক অসুস্থ আত্মীয়কে নিয়ে আমরা ঢাকায় যাচ্ছিলাম। রাত ২টার দিকে আমাদের প্রাইভেটকারটি রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ৩নং ফেরিঘাটে অপেক্ষমাণ রজনীগন্ধা ফেরিতে উঠলে আমরা গাড়ি থেকে নামি। এসময় ওই ফেরিতে একটি এসি বাস উঠলে বিকট এক শব্দ হয়। তখন রুকাইয়া আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে আমাদের হাত ছেড়ে দৌড় দেয়। এরপর থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না। পরে ফেরিতে খোঁজাখুজির সময় একজন আমাদের জানায় তিনি নদীতে কিছু একটা পড়ে যাওয়ার শব্দ পেয়েছেন। তখন ফেরির পকেট খোলা ছিল। এ কারণে আমাদের ধারণা, আমাদের সন্তান নদীতে পড়ে গেছে।’

রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাব অফিসার মো. বিল্লাল হোসেন খলিফা জানান, ‘সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটসহ পদ্মার বিভিন্ন পয়েন্টে ডুবুরি দিয়ে শিশুটিকে খোঁজা হয়। নদীতে প্রচণ্ড স্রোত। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত খুঁজেও শিশুটির কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।’

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ফেরির যে পকেট এখান থেকে পড়ে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। ওই ফেরিটা তখন ঘাটেই লাগানো ছিল। ঘটনার সময় বাচ্চার মা ছিলেন ওয়াশরুমে। বের হয়ে দেখেন বাচ্চাটি নেই। অসচেতনতার কারণেই এটি হয়ে থাকতে পারে। তবে বাচ্চাটির  অভিভাবকরা ধারণা করছেন, বাচ্চাটি পানিতে পড়ে গেছে।’

রুকাইয়ার মা জেসমিন আক্তার বলেন, ‘আমার মেয়ে নদীতে পড়ে যাওয়ার পর এখানে দায়িত্বরত সবার হাতে-পায়ে ধরে মেয়েকে উদ্ধারের আকুতি জানিয়েছি। কিন্তু কেউ সহযোগিতা করেনি। পরে সকালে খোঁজ শুরু হয়। পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার কাজ করতে পারলে আমার মেয়েকে হয়ত জীবীত উদ্ধার করা যেত। এখন মনে হচ্ছে আমার মেয়ের লাশটিও পাওয়া যাবে না।’

 

/এফএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!