সাভারের গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বুধবার (১৭ অক্টোবর) রাতে হাসপাতালটির দুই প্যারামেডিক চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আটকরা হচ্ছেন- হাসপাতালের প্যারামেডিক চিকিৎসক শিল্পী খাতুন ও মনি আক্তার।
এর আগে মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) গভীর রাতে আশুলিয়ার বিশমাইল এলাকার গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
নবজাতকের বাবা মনিরুজ্জামান জানান, তিনি আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার ফার্মেসি ব্যবসায়ী। গত ১৩ অক্টোবর তার স্ত্রী লাইজু বেগমকে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর থেকে হাসপাতালে বিভিন্ন পরীক্ষার পর তার প্রসূতি স্ত্রী ও শিশু সুস্থ রয়েছে বলে জানায় চিকিৎসকরা। এদিকে মঙ্গলবার রাতে প্রসব বেদনা শুরু হলে পরিবারের সদস্যরা সিজারে সন্তান প্রসবের কথা বললেও চিকিৎসকদের কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। এক পর্যায়ে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে কর্তব্যরত শিক্ষানবিশ চিকিৎসক নাহিদ মোস্তাদির ও শাকিল তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। পরে শিল্পী খাতুন, মনি আক্তার, জুয়েনা ও তাসলিমা নামে চার প্যারামেডিক চিকিৎসকসহ ছয় নার্স প্রসবের জন্য মনিরুজ্জামানের স্ত্রীকে নিয়ে যান। ভোরের দিকে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়ে দেয় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
মনিরুজ্জামানের অভিযোগ, তার স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরু হওয়ার পর একাধিকবার সিজার করার কথা বললেও হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাদের কথার গুরুত্ব দেয়নি। এ কারণে তাদের নবজাতক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে এ ঘটনার পর বুধবার সন্ধ্যায় মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে দুই জনকে আটক করে।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) নাহিদ বলেন, ‘এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করা হয়েছে।’