X
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪
২১ বৈশাখ ১৪৩১

আশ্রয় নেওয়া হিন্দুদের দুর্গোৎসব, মিয়ানমারে ফেরার প্রার্থনা

টেকনাফ প্রতিনিধি
১৮ অক্টোবর ২০১৮, ০৩:৩৮আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ০৩:৪৪
image

আশ্রয় নেওয়া হিন্দুদের দুর্গোৎসব, মিয়ানমারে ফেরার প্রার্থনা

গত বছর আগস্টে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসার পরপরই শুরু হয় দুর্গা পূজা। তবে সেসময় মিয়ানমারের নাগরিক হিন্দুরা ছিল কোনওভাবে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টায় মরিয়া। কিন্তু এবার তারা বাংলাদেশে মনের মতো করে পূজা উদযাপন করতে পেরেছে। পূজায় প্রার্থনার কেন্দ্রে ছিল মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারার বিষয়টি।

উখিয়ার প্রধান সড়কের পশ্চিমে কুতুপালংয়ের উচ্চ বিদ্যালয়ে কাছাকাছি বনের জমিতে প্রথমবারের মতো হিন্দুদের শিবিরে দুর্গাপূজার আয়োজন করেন জেলা প্রশাসক। সেখানে দেখা যায়, পূজামণ্ডপ থেকে শুরু করে আশ্রয় নেওয়া হিন্দুদের পুরো শিবিরটিই সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। পূজা উপলক্ষে জেলা প্রশাসক, পূজা উদযাপন কমিটিসহ বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে চাল, নতুন জামা-কাপড়সহ নানান উপহার সামগ্রী। এছাড়া তারা যেন নিরাপদে উৎসব পালন করতে পারে সেই লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

গত বছর ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর চালানো সহিংসতার জেরে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ১০৭টি পরিবারের ৫২৩ জন হিন্দু। এদের মধ্যে কয়েকজন সম্প্রতি মিয়ানমারের ফিরে গেছে। হিন্দু আশ্রয় শিবিরের মাঝি সুমন্ত রুদ্র বলেছেন,, ‘আমরা মৃত্যুর ভয়ে নিজ জন্মভূমি মিয়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছি। গত বছরে পূজার সময়ে এদিক-ওদিক ছুটতে হয়েছিল। কিন্তু এবার নিরাপদে পূজা উদযাপন করছি, যা মিয়ানমারেও পারিনি। গত বছর এই দিনগুলো আমাদের খুবই দুঃখের সময় ছিল। তাই তখন কোনও ধরণেরর উৎসব করতে পারিনি আমরা।’

উখিয়ার প্রধান সড়কের পশ্চিমে কুতুপালংয়ের উচ্চ বিদ্যালয়ে কাছাকাছি বনের জমিতে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেওয়া হিন্দুরা যে শিবিরে দুর্গা পূজা উদযাপন করতে পারছেন সে বিষয়ে শিবিরের বাসিন্দা রতন দাশ বলেছেন, ‘এই দুর্গোৎসবে প্রার্থনা করছি, আমরা যেন নিরাপদে মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারি। এজন্য বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা চাই। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী আমাদের যে শুভেচ্ছা উপহার পাঠিয়েছেন এতে আমরা খুবই আনন্দিত।’ । রতন দাশের বাড়ি মিয়ানমারের মেরুল্ল্যা গ্রামে।

উখিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের জানিয়েছেন, ‘পূজাকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হিন্দুদের শিবিরে রাত-দিন টহল দিচ্ছে পুলিশ। ওই রোহিঙ্গা শিবিরে ১০১ পরিবারের ৪৯৮ জন মানুষ রয়েছে। যারা গত বছরের আগষ্টে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে এপারে আশ্রয় নিয়েছেন।’

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিকারুজ্জামানের ভাষ্য, রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি হিন্দুরাও বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়। দুর্গাপূজার উৎসবে তাদের মণ্ডপ থেকে শুরু করে যাবতীয় জিনিসপত্রের ব্যবস্থা করেছে সরকার, যাতে তাদের উৎসব আনন্দের ও বর্ণিল হয়। আমরাও সে লক্ষ্যে কাজ করছি।’

/এএমএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
দুবাইতে বিশ্বের ২৩ নম্বর চীনের সুপার গ্র্যান্ডমাস্টারের সঙ্গে ড্র করে ফাহাদের চমক
দুবাইতে বিশ্বের ২৩ নম্বর চীনের সুপার গ্র্যান্ডমাস্টারের সঙ্গে ড্র করে ফাহাদের চমক
বরিশালে পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষ, অর্ধশতাধিক থ্রি-হুইলার ভাংচুর
বরিশালে পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষ, অর্ধশতাধিক থ্রি-হুইলার ভাংচুর
জিরোনার মাঠে বার্সেলোনার নাটকীয় হারে চ্যাম্পিয়ন রিয়াল
জিরোনার মাঠে বার্সেলোনার নাটকীয় হারে চ্যাম্পিয়ন রিয়াল
‘ফাইভ স্টার’ ম্যানসিটি, চার গোল হাল্যান্ডের
‘ফাইভ স্টার’ ম্যানসিটি, চার গোল হাল্যান্ডের
সর্বাধিক পঠিত
জাল দলিলে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ!
জাল দলিলে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ!
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি
লিথুয়ানিয়ার ড্রোন হামলা ব্যর্থ হয়েছে: বেলারুশ
লিথুয়ানিয়ার ড্রোন হামলা ব্যর্থ হয়েছে: বেলারুশ
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীরই মুখে কুলুপ
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীরই মুখে কুলুপ