X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

করলার বীজে ভেজাল, লোকসানে কৃষক

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
২১ অক্টোবর ২০১৮, ১১:০৬আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০১৮, ১১:১৮

করলা ক্ষেত জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বাখেড়া কমলগাড়ি গ্রামের শতাধিক কৃষক প্রায় আড়াই‘শ বিঘা জমিতে করলা চাষ করে লোকসানে পড়েছেন। তাদের অভিযোগ, উচ্চ ফলনশীল করলার বীজ কিনে তারা প্রতারিত হয়েছেন। ভেজাল বীজের কারণে ফলন তো দূরের কথা গাছই মরে যাচ্ছে। তবে কৃষি বিভাগের অভিযোগ, তাদের পরামর্শ না মেনে কৃষকরা প্রতি বছর একই কোম্পানির বীজ ক্রয় করার কারণেই করলা চাষে বিপর্যয় ঘটেছে।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৭-৮ বছর ধরে কমলগাড়ি গ্রামের শতাধিক কৃষক উচ্চ ফলনশীল জাতের করলা চাষ করে লাভবান হয়েছেন। শুরু থেকেই তারা লাল তীর কোম্পানির করলার বীজ কিনে চাষ করতেন। কিন্তু গত দুই বছর ধরে তারা করলা চাষই করতে পারছেন না। গত বছরও বীজ কিনে প্রতারিত হয়েছিলেন কৃষকরা। পরে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্ত ১০০ কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে ১১ কেজি করলার বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। এবারও একই কোম্পানির করলার বীজ কিনে লোকসানে পড়েছেন।

কৃষকরা বলেন, ভেজাল বীজের কারণে তারা ঠিকমতো করলার ফলাতে পারছেন না। অধিকাংশ করলা ছোট ও বাঁকা এবং নির্ধারিত সময়ের আগেই গাছের পাতা লাল হয়ে মরে যাচ্ছে। এ জাতের করলা যেখানে ১২০০ থেকে সাড়ে ১২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হতো, সেখানে এখন উৎপাদিত করলা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২০০ টাকা মণ দরে। ফলে করলা চাষ করে এবারও তারা লোকসানে পড়েছেন।

বাখড়া গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর হোসেনের অভিযোগ, পৌনে ৩ লাখ টাকা খরচ করে এবার তিনি পৌনে পাঁচ বিঘা জমিতে লাল তীর কোম্পানি থেকে বীজ কিনে করলা চাষ করেছেন। কিন্তু এ পর্যন্ত মাত্র ৩০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করেছেন। কিছু করলা ক্ষেতে ধরলেও সেগুলো উচ্চ ফলনশীল নয় অন্য জাতের করলা। অথচ আসল বীজ হলে তার এই ক্ষেত থেকে ৭-৮ লাখ টাকার করলা উৎপাদন হওয়ার কথা।

একই অভিযোগ ওই গ্রামের কৃষক বেলাল ফকির, মফির উদ্দিন, ওবায়দুর রহমান, আজহারুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক এবং ছানোয়ার হোসেনসহ অধিকাংশ কৃষকের। তারা বলেন, ক্ষেতে যেসব করলা ধরেছে তার দাম ও ফলন দুটোই কম।

তবে বীজ নিয়ে কৃষকদের এমন অভিযোগ মানতে নারাজ লাল তীর সীড কোম্পানির বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, বাখেড়া কমলগাড়িসহ ক্ষেতলালের বিভিন্ন মাঠে তাদের কোম্পানির করালা বীজ কৃষকরা ব্যবহার করছেন কয়েকবছর থেকে। এতে তারা লাভবানও হয়েছেন। একই ফসল বারবার ফলালে উৎপাদনে ঘাটতি হয়।  এছাড়া এবারের আবহাওয়াও ছিল অন্যান্য বারের চেয়ে উত্তপ্ত। এসব নানা কারণে ফলনে সমস্যা হতে পারে। কিন্তু ভেজাল বীজের কারণে যে এটা হচ্ছে কৃষকের এমন অভিযোগ সঠিক নয়।

তার দাবি, সর্বোচ্চ মান নিয়ন্ত্রণ করে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর লাল তীর কোম্পানির বীজ বাজারে বিপণন করার কারণে কৃষকদের কাছে তারা সমাদৃত।

ক্ষেতলাল কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর কবির বলেন, ‘কৃষকদের একই কোম্পানির বীজ বারবার ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। যারা তাদের পরামর্শ শুনেছেন তারা লাভবান হয়েছেন। আর যারা তাদের পরামর্শ না মেনে একই কোম্পানির বীজ বারবার ব্যবহার করেছেন তারা লোকসানে পড়েছেন।

 

/এসটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জাপানি ছবির দৃশ্য নিয়ে কানের অফিসিয়াল পোস্টার
কান উৎসব ২০২৪জাপানি ছবির দৃশ্য নিয়ে কানের অফিসিয়াল পোস্টার
ড্যান্ডি সেবন থেকে পথশিশুদের বাঁচাবে কারা?
ড্যান্ডি সেবন থেকে পথশিশুদের বাঁচাবে কারা?
লখনউর কাছে হারলো চেন্নাই
লখনউর কাছে হারলো চেন্নাই
পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফার ভোট শেষেই বিজয় মিছিল
পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফার ভোট শেষেই বিজয় মিছিল
সর্বাধিক পঠিত
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া