নওগাঁ-৬ (রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলা) থেকে চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবীরকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সব নেতারা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন। বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে দুই উপজেলার বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাণীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আল ফারুক জেমস।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আল ফারুক জেমস বলেন, ‘বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকারের আন্দোলন-সংগ্রাম, জেল-জুলুম ও মামলা-হামলার তোয়াক্কা না করে আত্রাই-রাণীনগরের বিএনপির পক্ষে জনমত তৈরি করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন বুলু। আলমগীর কবীর গত ২০০১ সালে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পরও সরকারের শেষ সময় এসে সর্বহারা-জেএমবির মাধ্যমে আত্রাই-রাণীনগরকে রক্তাক্ত জনপদে পরিণত করেন। সেই সঙ্গে বিএনপিকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে ১/১১-এর কুশীলবদের সঙ্গে আঁতাত করে বিএনপিকে চাকর-বাকরের সংগঠন বলেন। তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে দল ত্যাগ করে এলডিপিতে যোগ দেন। পরবর্তীতে তাদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হলে এলডিপি ত্যাগ করেন। দীর্ঘ ১২ বছর তার অনুপস্থিতিতে নতুন ভোটার ও রাজনৈতিক কর্মীদের কাছে আলমগীর কবীর একজন অপরিচিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার গোপন আঁতাতের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় স্থানীয় জাতীয়তাবাদী শক্তির কাছে তিনি বিশ্বাসঘাতকতার প্রতীকে পরিণত হয়েছেন। আলমগীর কবীরের দলে ফেরার বিষয়টি স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। এ অবস্থায় আত্রাই ও রাণীনগর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার স্বার্থে আলমগীর কবীরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাণীনগর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রবিউল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক একেএম জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, যুবদলের সভাপতি এমদাদুল হক, আত্রাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল মান্নানসহ দুই উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সব নেতারা।
