একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধার পাঁচটি আসনে ৫৪ জন প্রার্থীর মধ্যে স্বেচ্ছায় মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন সাতজন ও দলের চূড়ান্ত প্রার্থীর নামে চিঠি আসায় বাদ পড়েছেন ৯ জন প্রার্থী। ফলে নির্বাচনী মাঠে মূল লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকলেন ৩৮ জন।
মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন রবিবার (৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাইবান্ধা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সেবাস্ট্রিন রেমা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ‘পাঁচটি আসনের সাতজন প্রার্থী স্বেচ্ছায় তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। এছাড়া দলীয়ভাবে চূড়ান্ত প্রার্থীদের নামে প্রতীক বরাদ্দের চিঠি আসায় তাদের বিপরীতে থাকা ৯ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বিধি মোতাবেক বাতিল বলে ধরা হয়েছে। বর্তমানে পাঁচটি আসনে বৈধ সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৮ জনে।’
মনোনয়ন প্রত্যাহার করা প্রার্থীরা হলেন, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের মো. মহসীন আলী, গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মোস্তফা মনিরুজ্জামান, গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে গণফোরামের আব্দুর রউফ আকন্দ ও স্বতন্ত্র আবদুর রহিম সরকার, গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনে বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির আমিনুল ইসলাম গোলাপ, বিএনপির আলহাজ মোহাম্মদ আলী এবং স্বতন্ত্র নাজিমুল ইসলাম।
এছাড়া দলীয় সিদ্ধান্তে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন, গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে বিএনপির খন্দকার আহাদ আহমেদ ও মো. মাহমুদুন নবী টিটুল, গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে বিএনপির অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক, রফিকুল ইসলাম ও রওশন আরা খাতুন, গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে বিএনপির শামীম কায়সার লিংকন, বিএনপির ওবায়দুল হক সরকার, বিএনপির আমিনুল ইসলাম, গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনে বিএনপির শাহ মো. আবু বক্কর সিদ্দিক।
গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান জানান, ‘পাঁচটি সংসদীয় আসনে মনোনয়ন বিক্রি হয় ৬৭টি। এরমধ্যে মনোনয়ন জমা দেন ৬৪ জন প্রার্থী। যাচাই-বাছাইয়ে ১৬ জনের মনোনয়ন বাতিল হয়ে প্রার্থী থাকে ৪৮ জন। পরে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেন ১০ জন প্রার্থী। আপিলে ৬ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ হলে প্রার্থী সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৪ জনে। প্রত্যাহারের শেষ দিনে সাত জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। এছাড়া দলের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার চিঠি পাওয়ায় ৯ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাবে। ফলে পাঁচটি আসনে শেষ পর্যন্ত বৈধ প্রার্থী সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৮ জনে।’
তিনি আরও জানান, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী সোমবার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে শুরু হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা।