X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

১১ বার পরাজিত হওয়ার পরেও নির্বাচনে মারফত আলী

কুদরতে খোদা সবুজ, কুষ্টিয়া
১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:২৮আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ২০:০১

মারফত আলী সংসদ সদস্য বা চেয়ারম্যন হাওয়ার জন্য নয়, গণমানুষের মুক্তি আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১১ বার নির্বাচন করেছেন মুক্তিযোদ্ধা মারফত আলী মাস্টার। আর এর জন্য নিজের বাড়ি এমনকি মাঠের প্রায় ১৫ বিঘা জমি বিক্রি করেছেন তিনি। তবে ১৯৮০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত টানা ১১টি নির্বাচনে অংশ নিয়েও তিনি একটি নির্বাচনেও জয় পাননি। এরমধ্যে ৮টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন, একটি করে উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভা এবং একটি ইউপি নির্বাচন রয়েছে। 

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ছাত্র জীবনেই ১৯৬২ সালে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ১৯৬৬ এর ছয় দফা আন্দোলনেও যুক্ত ছিলেন। ১৯৬৯ সালে তিনি মিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৭০ সালে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি স্বাধীনতার স্বপক্ষে বিভিন্ন আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধেও অংশ নেন। এইচএসসি পাশ মারফত আলী কর্মজীবনে দৌলতপুর উপজেলার ছাতারপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসাবে চাকুরি করেছেন। উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের নওদা আজমপুর এলাকার মৃত হাতেম আলীর ছেলে ৭৫ বয়সী মারফত আলী মাস্টার বর্তমানে বসবাস করেন মিরপুর পৌরসভার খন্দকবাড়িয়া মহল্লায়। এখনো স্বপ্ন দেখেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার।

মারফত আলী মাস্টার বলেন, আমার নির্বাচন এমপি হওয়ার জন্য না, চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য না। আমার নির্বাচন হলো এদেশের গণমানুষের মুক্তির জন্য। গণমানুষের মুক্তি যতদিন না হয়, সমাজ ব্যবস্থা যতদিন পরিবর্তন না হয়, ততদিন কাজ করে যাবো।

তিনি আরও বলেন, দেশের জনগণের মুক্তির জন্য এবং সমাজকে সচেতন করাই আমার মূল উদ্দেশ্য। নির্বাচনে জেতা আমার মূল উদ্দেশ্য নয়। যতদিন এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন না হবে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নির্বাচন করে যেতে চাই।

তিনি বলেন, আমি মূলত এমপি হতে চাই না, চাই ধনী-গরিবের বৈষম্য দূর করতে। এ জন্য যত দিন বাঁচবো, নির্বাচনে অংশ নিয়ে যাবো। নির্বাচনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মারফত আলী বলেন, সর্বপ্রথম ১৯৮০ সালে মিরপুর উপজেলার সদরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে খেজুরগাছ প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সে সময় মাত্র ১২৬ ভোটে পরাজিত হই। তারপর ১৯৮৬ সালে ১৫ দলীয় জোটের মাছ মার্কা প্রতীকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সে সময় ১৩ হাজার ভোট পাই। ১৯৮৮ এবং ১৯৯১ সালে দুইবারই জাসদ (শাজাহান সিরাজ) এর দলের হয়ে মাছ মার্কা প্রতীকে নির্বাচন করি। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে জনতা পার্টি (আতাউল গনি উসমানী) থেকে হরিণ মার্কা প্রতীকে নির্বাচন করি। এরপর ২০০১ এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করি। ২০১০ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিয়া পাখি মার্কা প্রতীকে নির্বাচন করেছি। ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে জেএসডির তারা মার্কা প্রতীকে অংশ নিয়েছিলাম। পরে অর্থের অভাবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেই। বর্তমানে মারফত আলী বেঙ্গল ন্যাশনাল কংগ্রেস দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবে দল নিবন্ধন না পাওয়ায় বাংলাদেশ মুসলিম লীগের হয়ে হারিকেন প্রতীক নিয়ে ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। 

/টিটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ছাত্রলীগের ‘অনুরোধে’ গ্রীষ্মকালীন ছুটি পেছালো রাবি প্রশাসন
ছাত্রলীগের ‘অনুরোধে’ গ্রীষ্মকালীন ছুটি পেছালো রাবি প্রশাসন
সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত বেড়ে ৯
সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত বেড়ে ৯
বার্সেলোনার সঙ্গে থাকছেন জাভি!
বার্সেলোনার সঙ্গে থাকছেন জাভি!
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী