নোয়াখালী সদর উপজেলার ৮ নং এওজবালিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ চর শুল্লুকিয়া গ্রামের ইসমাইল নগরে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফকে (২৪) কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়রা মো. হানিফকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি-জামায়াতকর্মীদের দায়ী করেছেন।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, ‘মো. হানিফকে মৃত অবস্থায় আনা হয় এবং তার চোখে ও মুখে মরিচের গুড়া মাখা ছিল, শরীরে এলোপাতাড়ি কোপের দাগ এবং পায়ে গুলির দাগ ছিল।’
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ইমন ভট্ট জানান, মো. হানিফ সদর উপজেলার ৮ নং এওজবালিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য ও নোয়াখালী-৫ সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরী সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, ‘আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে জামায়াত বিএনপির নেতারা বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালিয়েছে। প্রথমে নোয়াখালী-৫ আসনের কবিরহাটে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ওপর হামলা চালিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল, ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ইসমাইলসহ আমাদের দলের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আব্দুল জলিল, ইসমাইলসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। পরে তারা দত্তের হাট বাজার এবং করিমপুরের নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর করে। এরপর বিকাল পৌনে ৫টায় ২০০ থেকে ২৫০ জন অতর্কিত মো. হানিফের চোখে-মুখে মরিচের গুড়া মেরে এবং এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তার শরীরের ওপর নেচে মৃত্যু নিশ্চিত করে ও পায়ে গুলি করে।’
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, ‘লাশ উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’