বগুড়ার সাতটি আসনে জমে উঠেছে নির্বাচনি প্রচার। আড্ডা, চায়ের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁয় সবখানেই চলছে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা। জেলার সর্বত্রই নির্বাচনি আমেজ বিরাজ করছে।
বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনের শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির প্রচার শুরুর সময় সামনে দাঁড়ানো নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তবে সিনিয়র নেতারা তাদের থামিয়ে দেন।
উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়ন যুবদল নেতা সাজেদুর রহমান সাজু জানান, সামনে দাঁড়াতে গেলে যুবদল নেতা মঞ্জুর সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। পরে হাতাহাতি হয়। এসময় পাশে দাঁড়ানো উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক খায়রুজ্জামান জিয়ার সঙ্গে হাতাহাতি হয়।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক খায়রুজ্জামান জিয়া জানান, তিনি নিজে এবং তার সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সমাবেশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় পদ-পদবী ছাড়া লোকজন এসে পেছন থেকে তাদের ধাক্কা দেয়। এতে তিনি পড়ে গিয়ে আঙুলে আঘাত পান। পরে হাতাহাতির ঘটনা হয়।
বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে বিএনপি প্রার্থী নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না মঙ্গলবার বিকালে মোকামতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পথসভা করেন। সভায় তিনি বলেন, ‘বিনা ভোটের সরকার ৫ বছর জোর করে টিকে থেকেছে। এবারের ভোট একটা আন্দোলনের অংশ। জনগণের ভোটের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। এজন্য ধানের শীষের পক্ষে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।’
বগুড়া-৬ (সদর) আসনে মহাজোট প্রার্থী জাপা নেতা, সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ নুরুল ইসলাম ওমর মঙ্গলবার দিনভর বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেছেন। তিনি বলেন, গত ৫ বছরে বগুড়া সদর উপজেলার উন্নয়নে তিনি কাজ করেছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, গ্রামীণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন, রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণ করেছেন। উপজেলার প্রতিটি গ্রামে তিনি উন্নয়ন করেছেন।