বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘হিরো আলম মানেই ভাইরাল। সিংহ আমার ও জনগণের প্রিয় প্রতীক। তাই নির্বাচনে এ প্রতীক নিয়ে সিংহের মতো গর্জন করতে চাই। বৃহস্পতিবার কাহালু থেকে প্রচারণা শুরু হবে। শুক্রবার নন্দীগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করবো।’ বুধবার বিকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মডেল ও অভিনেতা হিরো আলম জাতীয় পার্টি থেকে বগুড়া-৪ আসনে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। গত ২ ডিসেম্বর মনোনয়ন বাছাইকালে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর ঠিক না থাকায় রিটার্নিং অফিসার তার মনোনয়ন বাতিল করে দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে তিনি নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে সেখানেও বাতিল হয়। পরবর্তীতে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। বিচারপতিদের দ্বৈতবেঞ্চ শুনানি শেষে তাকে মনোনয়ন ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেন।
হিরো আলম জানান, বুধবার তিনি বগুড়ায় এসে রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদের কার্যালয়ে প্রতীক আনতে যান। কিন্তু তিনি ঢাকায় থাকায় সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাহের কার্যালয়ে যান। দুটি অফিসে হাইকোর্টের আদেশের কপি জমা দিয়ে রিসিভ করে নেওয়া হয়েছে। রিটার্নিং অফিসার না থাকায় তিনি প্রতীক বরাদ্দ পাননি। তবে রিটার্নিং অফিসার তাকে মৌখিকভাবে তার চাহিদামতো ‘সিংহ প্রতীক’ বরাদ্দ দিয়েছেন। তাকে সিংহ প্রতীক দিয়ে পোস্টার ছাপাতে বলা হয়েছে।
সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাহ জানান, ‘ঢাকায় জরুরি মিটিং শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা বগুড়ায় ফিরে এলে শুক্রবার হিরো আলমকে সিংহ প্রতীক দেওয়া হবে।’
হিরো আলম আরও জানান, ‘বৃহস্পতিবার কাহালু থেকে আমার নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করবো। পরদিন নন্দীগ্রাম উপজেলায় যাবো। নির্বাচনে সিংহের মতো গর্জন করতে চাই।’
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে হিরো আলমের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন জাসদের (ইনু) একেএম রেজাউল করিম তানসেন (নৌকা), বিএনপির মোশারফ হোসেন (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলনের মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী (হাতপাখা), তরিকত ফেডারেশনের কাজী এমএ কাশেম (ফুলের মালা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আয়ুব আলী (আম) ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের জীবন রহমান (টেলিভিশন)।