মুন্সীগঞ্জ সদরে র্যাব-১১ সদস্যদের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের কথিত বন্দুকযুদ্ধে ল্যাংড়া খসরু (৩৬) ও কানা সুমন (৩৮) নামে দুই সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় মোকাররম হোসেন (৪৫) ও সাফায়াত (৩১) নামে র্যাবের দুই সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। মঙ্গলবার(১৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে সদর উপজেলার সিপাহীপাড়া এলাকায় র্যাবের মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনাকালে এই ঘটনা ঘটে। আহত দুই র্যাব সদস্যকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সদর উপজেলার রামপাল বল্লালবাড়ি গ্রামের মৃত সুরুজ মাদবরের ছেলে মো. খসরু ওরফে ল্যাংড়া খসরু অবৈধ অস্ত্র ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে। সদর থানায় খসরুর বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে। কানা সুমন সদরের কোটগাঁও এলাকার মৃত কাসেমের ছেলে। তার বিরুদ্ধেও মাদক, চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা আছে।
র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর পুলিশ সুপার মো. এনায়েত হোসেন মান্নান জানান, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয় সিপাহীপাড়া এলাকায়। এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি চালালে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এই ঘটনায় ল্যাংড়া খসরু ও কানা সুমন নামে দুই সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। গোলাগুলির এক পর্যায়ে দুই র্যাব সদস্যের ডান ও বাম হাতে গুলি লাগে। তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
র্যাব সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩০-৩৫ মিনিট গোলাগুলি হয় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে। কানা সুমন ও ল্যাংড়া খসরু প্রাইভেটকারে অবস্থান করে র্যাব সদস্যদের ওপর গুলি চালায়। সন্ত্রাসী কাছ থেকে তিনটি পিস্তল, ইয়াবা ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া র্যাবের দুই সদস্যর ডান ও বাম হাতে গুলি লাগে।