নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনও ধরনের অবনতি ঘটলে কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখানে কে কোন দলের প্রার্থী সেটা আমাদের কাছে বিবেচ্য নয়।’ আজ বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুরে জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সার্বিক বিষয়ে রংপুর বিভাগের পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সেনাবাহিনী ইতোমধ্যেই মোতায়েন করা হয়েছে। তারা ১৫ ডিসেম্বর থেকে ভোটকেন্দ্রগুলোতে র্যাকি করা শুরু করেছে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কার্যক্রম শুরু করবে।’
নির্বাচনে বিরোধী দলের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকার অভিযোগ সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচনি মাঠ সমতল বলতে আমি মনে করি ভোটারদের জন্য মাঠ সমতল করতে হবে। সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তারা নিরাপদে বাসা থেকে বের হয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে আবার যেন নিরাপদে আসতে পারে এটাকেই আমরা সমতল বলি। কিন্তু কোনও দলের প্রার্থী বা রাজনৈতিক দলের জন্য সমতল করা আমাদের কাজ নয়। তারপরেও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এবং ভোটের মাঠ সমতল করার জন্য চেষ্টা করছি। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করার জন্য প্রয়োজনীয় সব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
রংপুরের বিভাগীয় নির্বাচন কর্মকর্তা শাহাতাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার জয়নুল বারী, রংপুর রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আব্দুল আলিম মাহমুদ, রংপুর র্যাব-১৩ প্রধান মোজাম্মেল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সভায় রংপুর বিভাগের ৮ জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।