X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

হবিগঞ্জে কলেজ ছাত্রী তন্নী হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড

সিলেট ও হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
০৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:৩২আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:৩২

নিহত তন্নী রায়

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বহুল আলোচিত কলেজ ছাত্রী তন্নী রায়কে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যা মামলার আসামি রানু রায়কে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল সিলেটের বিচারক রেজাউল করিমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

এদিন রাস্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন পিপি কিশোর কুমার কর। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আসামি রানু রায়কে ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেন বিচারক। বিষয়টি নিশ্চিত করেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিভাগীয় স্পেশাল পিপি কিশোর কুমার কর।

তিনি জানান, আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের এক বছর সাত মাস পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি স্থানান্তর করা হয়। এরপর ২০ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

তন্নী রায়ের বাবা বিমল রায় জানান, তার মেয়ে তন্নীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আসামির মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় তারা সস্তুষ্ট। তবে রায় দ্রুত কার্যকর করার জোর দাবি জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে তন্নী রায় নবীগঞ্জ শহরতলীর শেরপুর রোডের ইউকে আইসিটি ইন্সটিটিউট কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বেড় হয়ে আর ফেরেনি। তার নিখোঁজের ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তন্নী রায়ের বাবা বিমল রায়। সাধারণ ডায়েরি করার ৩ দিনের মাথায় কলেজ ছাত্রী তন্নী রায়ের বস্তাবন্দি লাশ নবীগঞ্জ শহরতলীর একটি নদী থেকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। ২০১৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫ টার দিকে বরাক নদীতে তন্নীর বস্তাবন্দি লাশ ভেসে উঠে। লাশ বিকৃত হয়ে যাওয়ায় কেউ লাশ সনাক্ত করতে পারেনি। পরে লাশের সঙ্গে পাওয়া একটি চাবি দিয়ে তন্নীর সুকেজের তালা খুলার পর নিশ্চিত হয় উদ্ধারকৃত লাশটি তন্নীর। এর পর থেকে হত্যাকারীদের খোজে মাঠে নামে পুলিশ। সন্দেহের তীর  যায় তন্নীর প্রেমিক রানু রায়ের দিকে। এ ঘটনায় রানুর পিতা কানু রায়সহ পরিবারের সবাই বাসায় তালা ঝুলিয়ে আত্মগোপণ করেছিল। পুলিশ ঘরের তালা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বস্তা ও ডিসের তার জব্দ করে। একই রকম বস্তা ও ডিসের তার তন্নীর লাশের সঙ্গে পাওয়া যায়। এদিকে রানু পালিয়ে যায় ঢাকায়। সেখানে ফুটপাতে কাজ করতো। পুলিশের ভয়ে বন্ধ করে দেয় নিজের ব্যবহৃত মোবাইলও। তার বাবা কানু রায়ও তার মোবাইলটি বন্ধ রাখে। প্রয়োজনে অন করে কথা বলতো। ফলে রানু রায় বা পরিবারের কারও সাথে তার যোগাযোগ ছিল না। রানু প্রয়োজনে দোকান থেকে তার কাছে থাকা ফোন নম্বরের লিস্ট থেকে  ফোন করতো।  ২/৩ দিন আগে রানু তার বাবার নম্বরে ফোন দেয়। এ সময় রানু জানতে পারে পরিবারের সবাই পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তার কারণে সবাই কষ্ট করছে দেখে রানু আত্মসমর্পনের সিদ্ধান্ত নেয়। অন্যদিকে পুলিশও রানু ও তার পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতারে জন্য জাল বিস্তার করে। এরইমধ্যে হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের কাছে খবর আসে রানু বি-বাড়িয়া শহরের বাদুঘর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রয়েছে। খবর পেয়ে তৎকালীন ডিবির ওসি বর্তমান চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম আজমিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বি-বাড়িয়া শহরের বাদুঘর বাসষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে রানু রায়কে গ্রেফতার করে।

/জেবি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘জুনের মধ্যে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হবে’
‘জুনের মধ্যে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হবে’
জাবি ছাত্রলীগের সেই ৩ কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ 
জাবি ছাত্রলীগের সেই ৩ কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ 
সিরিয়ায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩৮
সিরিয়ায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩৮
বেচাকেনা জমজমাট, কম দামে ভালো পাঞ্জাবিতে আগ্রহ ক্রেতাদের
বেচাকেনা জমজমাট, কম দামে ভালো পাঞ্জাবিতে আগ্রহ ক্রেতাদের
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়