কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে নাফনদী ও সমুদ্রে ইয়াবা বহনকারী ১৩টি নৌকায় আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে কারা এ আগুন দিয়েছে সে বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ করা হয়নি। তবে ওইসব নৌকার মালিক বেশিরভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।
পুলিশের ভাষ্যমতে, এসব হামলা হচ্ছে ‘গায়েবি’। কিছুদিন আগেও টেকনাফে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছিল। এখন আবার তাদের নৌকায় হামলা হচ্ছে।
জানা গেছে, গত দুই দিকে কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নে বাহারছড়া সৈকতে পাঁচটি ও মুন্ডার ডেইল ঘাটের সৈকতে আটটিসহ ১৩টি ইঞ্জিনচালিত নৌকায অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে। এইসব নৌকার মালিকরা হলেন- টেকনাফের চাঁন মিয়ার, মোহাম্মদ ছিদ্দিক, মোহাম্মদ ফারুক, আলী আহমদ, শাকের আহমদ মাঝির, হেলাল উদ্দিন, মোহাম্মদ ভূট্টোর, সৈয়দ আলম, রহিম উল্লাহ, ফিরোজ আহমদ। এসব নৌকা বিরুদ্ধে ইয়াবার চালান পাচারের অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, উপজেলার বাহারছড়া-শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত প্রচুর নৌকা রয়েছে। এসব নৌকা সাগরে মাছ ধরতে যায়। হঠাৎ করে বুধবার ও বৃহস্পতিবার রাতে মুখাশেধারী একদল লোক সৈকতে এসে ১৩টি নৌকা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। তবে ওই সময় আরও প্রায় শতাধিক নৌকা ছিল। ওইসব নৌকায় কোনও হামলা চালানো হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত নৌকা মালিক ও নৌযানগুলোর বিরুদ্ধে ইয়াবা পাচারের অভিযোগ আছে। কিন্তু কারা হামলা চালিয়েছে, তা জানা যাচ্ছে না। এলাকার মানুষও এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, ‘তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কিছু নৌযানে অগ্নিসংযোগ করার খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় লোকজন বলছে এটি গায়েবি হামলা। এর প্রতিকার চেয়ে কেউ মামলা ও অভিযোগ দেয়নি।’