ফেনীতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ঘরে আটকে রেখে ৪ তরুণীকে ধর্ষণ মামলার মূল আসামি কাওসার বিন কাসেমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে শহরের রামপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে এ মামলায় বৃহস্পতিবার রাতে শহরের রামপুর এলাকা থেকে মো. ছোটন নামে আরেক আসামিকে গ্রেফতার করেছিলো পুলিশ। এ মামলায় এ পর্যন্ত মোট চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইতোপূর্বে গ্রেফতার হওয়া মো. ওমায়ের ও আরিফুল ইসলাম আরমানকে পুলিশ ১০ দিন করে রিমান্ড চাইলে আদালত উভয়ের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই ) মো. শাহজাহান বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এসআই মো. শাহজাহান বলেন, বিভিন্ন স্থান থেকে প্রেমের প্রলোভনে ফুসলে চার তরুণীকে এনে ফেনী শহরের রামপুর এলাকায় একটি বাসায় আটকে রাখে কাওসার বিন কাসেম। কাওসার ও তার সহযোগীরা ওই তরুণীদের সঙ্গে জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক করতো। এ সময় ওই তরুণীরা অসম্মতি জানালে তাদেরকে সিগারেটের ছ্যাঁকা, বৈদ্যুতিক শক ও মারধর ও বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালানো হতো। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার ওই ঘর থেকে বন্দি অবস্থায় নির্যাতিত চার তরুণীকে উদ্ধার করে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাসার মালিক কাওসারসহ নির্যাতনকারীরা পালিয়ে যায়।এ সময় ওই বাসার বিভিন্ন কক্ষ থেকে ৫৩ পিস ইয়াবাসহ মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নির্যাতনের আলামত জব্দ করে পুলিশ।
এ ঘটনার শিকার তরুণীদের মধ্যে একজন বাদী হয়ে কাওসার বিন কাসেমসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরদিন ফেনী জেলা সদর হাসপাতালে চার তরুণীর শারীরিক পরীক্ষা শেষে আদালতে ২২ ধারায় তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
এ ঘটনায় ধর্ষণ মামলা ছাড়াও ইয়াবা ট্যাবলেট রাখার কারণে আরও একটি মামলা হয়েছে।