X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তুলা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন জামালপুরের চরাঞ্চলের কৃষকরা

জামালপুর প্রতিনিধি
২১ জানুয়ারি ২০১৯, ০৭:৪৩আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৩:৫৭

মাঠ থেকে তুলা সংগ্রহ করা হচ্ছে জামালপুর জেলার বিস্তীর্ণ চরে এবার ব্যাপক তুলা চাষ হয়েছে। এজন্য পিছিয়ে থাকা চরাঞ্চলের কৃষকের মাঝে আশার আলো দেখা দিয়েছে। একসময়ের প্রায় অনাবাদি ও পতিত জমিতে তুলা চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা। এখানকার কৃষকদের মাঝে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তুলা চাষ। কৃষকদের এখন ব্যস্ত সময় কাটছে ক্ষেত থেকে তুলা সংগ্রহের কাজে।

জামালপুর জেলা তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, জামালপুর সদর উপজেলার মধ্য পাথালিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ পাথালিয়া, চন্দ্রা, পিয়ারপুর, সেনেরচর, বানারেরপাড় এলাকা এবং ইসলামপুর উপজেলার পিরিজপুর, ডেফলারচর ও শভুপুর এলাকায় এবার ব্যাপকভাবে তুলার চাষ হয়েছে।

শুভ্র তুলায় ভরে উঠেছে চরের ক্ষেতগুলো। কৃষকদের এখন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটছে তুলা ওঠানোর কাজে। যমুনা ও ব্র‏হ্মপুত্র নদের চরের শুষ্ক ভূমিতে ধান ফলানো কঠিন। আখ, পাট, সরিষা, কলাই ও অন্য ফসল করেও খুব একটা লাভের মুখ দেখা যায় না। এজন্য গত কয়েক বছর যাবৎ চরাঞ্চলে ক্রমশ বাড়ছে তুলার চাষ। অনুকূল আবহাওয়ায় ভালো ফলনের পাশাপাশি বাজার ভালো থাকায় খুশি কৃষকরা।

জামালপুর সদরের মধ্য পাথালিয়া এলাকার তুলা চাষি সোলায়মান হাকিম, ইব্রাহিম সরকার, খলিলুর রহমান খলিল, মফিজ সরকার ও রুবেল মিয়া জানান, তুলা চাষ করতে প্রতিবিঘা জমিতে কৃষকদের গড়ে খরচ হয় ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা। আর জাতভেদে বিঘাপ্রতি তুলার ফলন পাওয়া যায় ৮ থেকে ১৫ মণ পর্যন্ত।

দিগন্তজুড়ে তুলার ক্ষেত তুলা চাষি সোলায়মান হাকিমের প্রতিবিঘা জমিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৭ হাজার টাকা আর তিনি তুলা বিক্রি করতে পারবেন প্রায় ২০-২৫ হাজার টাকার। গত বছরও তিনি ৭ বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের তুলা চাষ করেছেন। একই এলাকার কৃষক আবদুল মজিদ জানান, এবার ২ বিঘা জমিতে তুলা আবাদ করতে তার খরচ হয়েছিল ১৫ হাজার টাকা। তিনি ৩০ হাজার টাকার তুলা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

জামালপুর জেলা তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এবার বীজ তুলার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৭৫০ মেট্রিক টন ধরা হয়েছে। গত বছর বীজ তুলার উৎপাদন লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ৬৫০ মেট্রিক টন। এবার আশতুলার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৫০ বেল। গত বছর আশতুলার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৪৩০ বেল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার তুলার ফলন ভালো হয়েছে। দাম ভালো থাকায় কৃষকরা এবার লাভবান হবে। কৃষকদের তুলা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে দেওয়া হচ্ছে সব ধরনের সহায়তা।’

এবার জেলার ২২৫ হেক্টর জমিতে সিবি ১২, সিবি ১৪, সিবি হাইব্রিড-১, রুপালি-১ ও ডিএম-৩ জাতের তুলার চাষ হয়েছে। এ বছর তুলা উন্নয়ন বোর্ড মণপ্রতি তুলার দাম নির্ধারণ করেছে ২ হাজার ৫০০ টাকা।

জামালপুর জেলায় অনাবাদি খাস জমি রয়েছে সাড়ে ৩ হাজার হেক্টরের বেশি। এসব চরের অনাবাদি জমিতে তুলা চাষ করা গেলে শুধু কৃষকই লাভবান হবেন না, তুলা আমদানিতে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থেরও সাশ্রয় হবে।

/এমএএ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
প্রতিবন্ধী শিল্পীদের আয়োজনে মঞ্চস্থ হলো ‘সার্কাস সার্কাস’ নাটক
প্রতিবন্ধী শিল্পীদের আয়োজনে মঞ্চস্থ হলো ‘সার্কাস সার্কাস’ নাটক
‘শো মাস্ট গো অন’
চিকিৎসা সুরক্ষা আইন জরুরি‘শো মাস্ট গো অন’
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!