শীতের শেষে কুড়িগ্রামে কমছে তাপমাত্রা বাড়ছে শীতের তীব্রতা। অনেকটা স্বাভাবিক শীতে পৌষ মাস পেরিয়ে গেলেও মাঘের শুরুতে বাড়তে শুরু করেছে শীতের তীব্রতা। বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) সারাদিন সূর্যের দেখা মিলেছে ক্ষণিকের জন্য। মেঘলা আকাশে সূর্যের দেখা না মেলায় দুর্ভোগে পড়েছে জেলার নদ-নদী তীরবর্তী কর্মজীবী লোকজন। কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যানুযায়ী বৃহস্পতিবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আগামী এক সপ্তাহ তাপমাত্রা আরও কমার আশঙ্কা করছে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের তুলনায় চলতি বছর শীতের তীব্রতা অনেকটা কম থাকলেও বুধবার ভোর রাত থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। দিনের তাপমাত্রা কিছুটা সহনীয় থাকলেও বিকাল থেকেই তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ায় শীতের প্রকোপতায় জনদুর্ভোগ বাড়ছে।
শীতের তীব্রতা বাড়ায় কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন শীতজনিত রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আনোয়ারুল হক প্রামাণিক জানান, শীতের প্রকোপতা বাড়ায় শিশুরা ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগে এবং বয়ষ্করা শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে অন্য সময়ের তুলনায় বর্তমানে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেশি। আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। এই শীতে শিশু ও বৃদ্ধদের কিছুটা উষ্ণ পরিবেশে রেখে ঠান্ডা ও ধুলা-বালু মুক্ত পরিবেশে রাখার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।
জেলায় মৃদু শৈত্য প্রবাহ চলছে জানিয়ে রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী সপ্তাহে জেলায় তীব্র শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ভারত সাগরে একটি লঘুচাপ অবস্থান করায় আকাশ অনেকটা মেঘলা রয়েছে। ফলে তুলনামূলক ভাবে শীতের প্রকোপ বেশি মনে হচ্ছে। আগামী কয়েকদিন এ অবস্থা বিরাজ করতে পারে।
জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ শাখা সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে জেলার ৯ উপজেলার ৪৬ হাজার ৯১৪ টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে যা বিতরণের শেষ পর্যায়ে রয়েছে।