জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতুর ৩৫ ও ৩৬ নম্বর পিলারের ওপর সপ্তম স্প্যান(সুপার স্ট্রাকচার) '৬-ই' বসানোর মাধ্যমে এই প্রান্তে দৃশ্যমান হলো সেতুর ১০৫০ মিটার। জাজিরা প্রান্তে ষষ্ঠ স্প্যান বসানোর এক মাস না পেরোতেই বসলো এই স্প্যানটি।
পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী আহসান উল্লাহ মজুমদার স্প্যান বসানোর খবর নিশ্চিত করেন। বুধবার(২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ১ টার দিকে পিলারের ওপর স্প্যান বসানো হয়।
এর আগে মঙ্গলবার(১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে রওনা দিয়ে স্প্যানটি দুপুরে জাজিরা প্রান্তে কাঙ্ক্ষিত পিলার এলাকায় আসে।
প্রকৌশলী বলেন, ‘বুধবার সকাল আটটায় স্প্যান বসানোর কথা থাকলেও ঘন কুয়াশার কারণে স্প্যান বসানো বিলম্ব হয়। অবশেষে দুপুর পৌনে একটার দিকে স্প্যান বসানো হয়।’ স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার আর ওজন তিন হাজার ১৪০ টন। তিন হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ক্রেন “তিয়ান ই” স্প্যানটি বহন করে আনে।
প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, স্প্যান বহনকারী ক্রেনটিকে ৩৫ ও ৩৬ নম্বর পিলারের পজিশন অনুযায়ী রাখা হয়। এরপর লিফটিং ক্রেনের সাহায্যে রাখা হয় পিলারের ওপর। পুরোপুরি স্থায়ীভাবে স্প্যান বসে যেতে সময় লাগবে আরও কয়েকদিন। বর্তমানে অস্থায়ী বেয়ারিংয়ের ওপর রাখা হয়েছে স্প্যানটিকে। ওয়েল্ডিং করে ষষ্ঠ স্প্যানের সঙ্গে জোড়া দেওয়া হবে। দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের চেষ্টায় জটিলতা ছাড়াই সফলভাবে বসানো হয়'৬-ই' স্প্যানটিকে।
জানা যায়, মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের ওপর অস্থায়ীভাবে একটি স্প্যান রাখা হয়েছে। তবে এটি ওই পিলারের স্প্যান নয়। পদ্মা সেতুর প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, জায়গা সংকুলান না হওয়ায় পিলারটি অস্থায়ীভাবে এখানে রাখা হয়েছে। পরে এটি সরিয়ে নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বসানো হয় প্রথম স্প্যান। এর প্রায় ৪ মাস পর ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্প্যানটি বসে। এর দেড় মাস পর ১১ মার্চ জাজিরা প্রান্তে তৃতীয় স্প্যান বসানো হয়। এর ২ মাস পর ১৩ মে বসে চতুর্থ স্প্যান। এরপর এক মাস ১৬ দিনের মাথায় পঞ্চম স্প্যানটি বসে ২৯ জুন। আর ৬ মাস ২৫ দিনের মাথায় ২৩ জানুয়ারী বসে ষষ্ঠ স্প্যানটি।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান।